নয়া দিল্লি: কোভিড মহামারির কারণে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন শিল্প। তবে, বর্তমানে ধীরে ধীরে ফের আগের জায়গায় ফিরছে পর্যটন সেক্টর। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর), TV9 ITTA সম্মেলনে অংশ নিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। তিনি বলেন, “বর্তমানে এই সেক্টরের অবস্থা বেশ ভাল। অন্য কোনও দেশ এই সাফল্য পায়নি।” চিন-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে তিনি সকলকে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রীর আশা, ভারতে আর মহামারি ফিরবে না। তবে সাবধানতা অবলম্বন করতেই হবে।
কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, শ্রীনগরে বর্তমানে পর্যটকদের বিশাল ভিড় দেখা যাচ্ছে। মানুষ তুষারপাত এবং কাশ্মীরের ঠান্ডা উপভোগ করতে চাইছেন। একই সঙ্গে কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথেও পর্যটকদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। জি কিষাণ রেড্ডি আরও জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে রাম জন্মভূমি ভারতে আগত বিদেশি পর্যটকদের জন্য অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ হতে চলেছে। তিনি বলেছেন, “বস্তুত, তাঁরা কাশী, সোমনাথ, উজ্জয়ীন এবং অমৃতসরেও যেতে চান।”
কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী আরও দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শাসনকালে পরিবহণ এবংপর্যটন শিল্পের ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। জাতীয় সড়কের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলেই পর্যটন ক্ষেত্রে উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “কোনও রাজ্যের উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো আবশ্যক।”তিনি আরও জানান, আগে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেতে ১৬ ঘণ্টা সময় লাগত। অটলবিহারি বাজপেয়ী সরকারের সময়ে অনেকগুলি নতুন জাতীয় সড়ক তৈরি করা হয়েছিল। ইউপিএ সরকারের সময়ে সেগুলির উন্নয়নের কোনও কাজই করা হয়নি বলে দাবি করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরই, জাতীয় সড়কগুলির কাজ ফের শুরু করা হয়েছে।” উত্তর-পূর্ব ভারতে জাতীয় সড়কের উন্নয়নে ২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই তিনি দেশের পর্যটনের সবথেকে বড় দূত বলে জানিয়েছেন জি কিষাণ রেড্ডি। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী বছর ভারতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন হবে। এই শীর্ষ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আগামী দুই বছর সারা বিশ্বের মধ্যে পর্যটন ক্ষেত্রে ভারতই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।