Railway: প্লেনের মতো ট্রেনেও কি থাকছে ‘ব্ল্যাক বক্স’? কী কাজ এটির
Indian Railway: ব্ল্যাক বক্সের নীচে পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতিটি ইঞ্জিনে ৬ থেকে ৮ আইপি ভিত্তিক চারটি ডিজিটাল ক্যামেরা বসানো হবে। ইঞ্জিনের ভেতরে লোকো পাইলট ও সহকারী পাইলটের ওপর দুটি সিসি ক্যামেরা ফোকাস করা হবে।
নয়া দিল্লি: প্রতিটি বিমানের ভিতরে একটি ব্ল্যাক বক্স। যার ভিতরে সেই বিমানের অপারেশন সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের রেকর্ড থাকে। দুর্ঘটনা ঘটলে সে ক্ষেত্রে বিমানটিতে কী ঘটেছিল, সে সম্পর্কে চূড়ান্ত এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য শুধুমাত্র ব্ল্যাক বক্স থেকেই পাওয়া যায়। ভারতীয় রেলও একই প্রযুক্তি গ্রহণ করছে। রেলওয়ে ক্রু ভয়েস ভিডিয়ো রেকর্ডিং সিস্টেম (CVVRS) বসানো হচ্ছে ট্রেনে। অর্থাৎ ট্রেনের ইঞ্জিনেও ব্ল্যাক বক্স ইনস্টল করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার আগেই সতর্ক করবে
ট্রেনের ইঞ্জিনে লাগানো এই ডিভাইসটি দুর্ঘটনার পরে নয়, দুর্ঘটনার আগে লোকো পাইলটদের ভুল এবং রুটের ত্রুটি সম্পর্কে জানাবে। এর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে এবং শীঘ্রই তা বাস্তবায়নের প্রস্তুতিও চলছে রেলের তরফে। ট্রেনের এই ব্ল্যাক বক্সটি আপগ্রেড করা হলে শুধু দুর্ঘটনার সম্ভাবনাই কমবে না, যাত্রীদের নিরাপত্তা জোরদার করতেও সাহায্য করবে।
একটি ব্ল্যাক বক্স কীভাবে কাজ করবে?
আপগ্রেডের পরে, ব্ল্যাক বক্স লোকো পাইলটদের এবং রেলের অন্যান্য কার্যকলাপের অডিয়ো এবং ভিডিয়ো রেকর্ড করতে থাকবে। লোকো পাইলট দু’জনেই কথা বলছেন কি না, ট্রেন নির্ধারিত গতির চেয়ে কম বা বেশি গতিতে চলছে কি না, লোকো পাইলট নিয়ম অনুযায়ী হর্ন বা ব্রেক দিচ্ছেন কি না, রেল লাইন, পয়েন্ট বা জয়েন্ট ভাল অবস্থায় আছে কি না, ইঞ্জিন পর্যাপ্ত শক্তি পাচ্ছে কি না, সেই সব তথ্য ব্ল্যাক বক্স রেকর্ড করবে এবং রিপোর্ট তৈরি করবে।
বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ট্রেনের ইঞ্জিনে বসানো ব্ল্যাক বক্সের মাধ্যমে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা রোধ করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সাধারণত ব্ল্যাক বক্স দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। দুর্ঘটনা ঘটে গেলে, তারপর ব্ল্যাক বক্সের সম্পূর্ণ অডিয়ো ও ভিডিয়ো দেখতে হবে।
প্রতিটি ইঞ্জিনে ৪টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে
ব্ল্যাক বক্সের নীচে পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতিটি ইঞ্জিনে ৬ থেকে ৮ আইপি ভিত্তিক চারটি ডিজিটাল ক্যামেরা বসানো হবে। ইঞ্জিনের ভেতরে লোকো পাইলট ও সহকারী পাইলটের ওপর দুটি সিসি ক্যামেরা ফোকাস করা হবে। তৃতীয় ক্যামেরাটি ইঞ্জিনের বাইরে ট্র্যাকের দিকে থাকবে। অর্থাৎ রেলপথও থাকবে ক্যামেরার রেঞ্জে। চতুর্থ ক্যামেরাটি ইঞ্জিনের উপরের অংশে ইনস্টল করা হবে, যা ওভারহেড ইকুইপমেন্টে (OHE) কোনও ত্রুটি থাকলে শনাক্ত করবে।
‘জি বিজনেস’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, উত্তর পূর্ব রেলের সিপিআরও পঙ্কজ কুমার সিং জানিয়েছেন, ক্রু ভয়েস ভিডিয়ো রেকর্ডিং সিস্টেম রেল ইঞ্জিনে ইনস্টল করা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত আটটি ইঞ্জিন বসানো হয়েছে। আগামিদিনে সব ইঞ্জিনেই এই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। পাইলট প্রকল্পের আওতায় উত্তর-পূর্ব রেলের ইঞ্জিনে ব্ল্যাক বক্স বসানো শুরু হয়েছে। এই সিস্টেমটি আটটি ইঞ্জিনে কাজ করছে, যার মধ্যে গোন্ডায় অবস্থিত লোকো শেডের পাঁচটি ইঞ্জিনে ব্ল্যাক বক্স স্থাপন করা হয়েছে।