ঝাড়খণ্ড: আদিবাসীদের ডাকা ঝাড়খণ্ডে বনধের রেশ পড়ল বাংলাতেও। অলচিকি ভাষাকে মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে বনধের ডাক দিয়েছে অলচিকি হুল সম্প্রদায়ের মানুষরা। এ দিন তাঁরা খড়গপুর-টাটা সেকশনের চিরুগোদা রেল স্টেশন অবরোধ করেন। যার জেরে ব্যাহত ট্রেন চলাচল। জানা যাচ্ছে ঘাটশিলা ও ঢালভূমগড়ে আটকে রয়েছে একাধিক ট্রেন। আপ-ডাউন উভয় লাইনেই ব্যাহত ট্রেন চলাচল। ইতিমধ্যেই বাতিল হয়েছে একাধিক প্যাসেঞ্জার ও এক্সপ্রেস ট্রেন। তার মধ্যে রয়েছে বারবিল-হাওড়া জন শতাব্দী এক্সপ্রেস ও খড়গপুর-টাটানগর-খড়গপুর প্যাসেঞ্জার স্পেশাল ট্রেন।
এছাড়াও কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে গোরক্ষপুর-শালিমার এক্সপ্রেস,ওখা-শালিমার এক্সপ্রেস ও হাওড়া মুম্বাই দূরত্ব এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি রুট পরিবর্তন করে চন্দিল-আর্দ্রা-মেদিনীপুর হয়ে গন্তব্যে পৌঁছবে।
বস্তুত, অলচিকি ভাষাকে ঝাড়খণ্ডের প্রথম সরকারি ভাষা করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন অলচিকি হুল বাইসিরা। সোমবার একটি মিছিল করেন তাঁরা। এরপর আজ বিক্ষোভ করে। রেলপথ অবরোধ করেন। এ দিন বিভিন্ন জায়গায় রেললাইন ও রাস্তার উপর বসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। প্রায় তিনশো জন বিক্ষোভকারী চিরুগোদা রেলস্টেশনের উপর বসে আন্দোলন করতে থাকেন। বনধকে সফল করতে আদিবাসীরা স্কুল-কলেজগুলিও বন্ধ রাখার আবেদন করেন। উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগে কুড়মি আন্দোলনের জেরেও বাতিল হয়ে যায় একাধিক ট্রেন। বিভিন্ন দাবি নিয়ে তাঁরা রেললাইনের উপর বসে বিক্ষোভ দেখান। যদিও সেই সমাধান সূত্র এখন মেলেনি। যদিও, পশ্চিমঙ্গে অলচিকিভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।