নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার দেশের ১৪ তম উপরাষ্ট্রপতি পদে শপথ (Vice President Oath taking) নিতে চলেছেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ধনখড়কে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ কেন্দ্রের তাবড় মন্ত্রী থেকে নেতানেত্রীরা ধনখড়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না তৃণমূল। দলের ঘোষিত নির্দেশ অনুযায়ী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত ছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। বিরোধী শিবিরের তরফে মার্গারেট আলভাকে প্রার্থী করার আগে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি, অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল।
২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের শেষে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক জানিয়ে দিয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতি ভোটে অংশগ্রহণ করবে না তৃণমূল। দলের মূলস্রোত থেকে দূরে থাকা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও তমলুকের সাংসদরে দিব্যেন্দু অধিকারীকে চিঠি লিখে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ৬ অগস্ট রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভোট দিতে দেখা যায় শিশির ও দিব্যেন্দুকে।
নয়া উপরাষ্ট্রপতি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তৃণমূলের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মুখ খুলেই তৃণমূলের অসৌজন্যতা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “রাজনীতিতে অনেক সৌজন্যের নজির থাকে। তবে তৃণমূলের কোনও সৌজন্যতা আশা করায় বৃথা।” উল্লেখ্য, বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন তৃণমূল সরকারের সঙ্গে তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সংঘাত তুঙ্গে উঠেছিল। বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূল সরকারে সমালোচনা করে মুখ খুলেছিলেন ধনখড়। আগামী দিনে ধনখড়ের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কে কোনও বদল হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।