‘নন্দীগ্রামে হেরেছেন, তাই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত নয়’, মমতার মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে প্রশ্ন বিপ্লব দেবের

অমর্ত্য মুখোপাধ্য়ায় | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

May 05, 2021 | 2:44 PM

বিজেপির ফলাফলের প্রশংসা করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জানান, বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিজেপি নির্বাচনে জয়ী না হলেও তাদের ভোটের শতাংশ অনেকাংশে বেড়েছে।

নন্দীগ্রামে হেরেছেন, তাই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত নয়, মমতার মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে প্রশ্ন বিপ্লব দেবের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত নয় বলেই দাবি বিপ্লব দেবের।

Follow Us

আগরতলা: নন্দীগ্রাম আসনে হারলেও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী পূর্বের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসই। বুবার শপথ বাক্য পাঠ করেন রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শপথ গ্রহণের আগেই তাঁকে আক্রমণ করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন, “হিসাব মতো তিনি যেহেতু নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসন থেকে হেরে গিয়েছেন, সেই হিসাবে ওঁনার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত নয়।”

মঙ্গলবার বিজেপির তরফে আয়োজিত একটি সাাংবাদিক বৈঠকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “মহু মানুষই নির্লাচনে না লড়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনে লড়াই করেছেন এবং হেরে গিয়েছেন। যেহেতু সাধারণ মানুষই তাঁকে নির্বাচিত করেননি, ওনার উচিত নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে দূরে রাখা।”

গতকাল ফেসবুকেও দীর্ঘ একটি পোস্টে তিনি বলেন, “ভোট গণনার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে বল্গাহীন সন্ত্রাস শুরু করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। জেলায় জেলায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা ভয়াবহ। বিজেপি কার্যকর্তাদের খুন করা, বাড়িঘর-দোকানপাট লুঠ করার মতো ঘটনা ঘটছে। নারকীয় আক্রমণ থেকে রেয়াত করা হচ্ছে না মহিলাদেরও। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার জগদ্দলে এক বিজেপি কার্যকর্তার উপর হামলা করতে গেলে সন্তানকে রক্ষা করতে গিয়ে খুন হয়েছেন তাঁর মা। গ্রামে গ্রামে মহিলাদের উপর নির্বিচার অত্যাচার হচ্ছে।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরবতা নিয়ে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীরব। তাঁরই তো দায়িত্ব এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা, বার্তা দেওয়া। কিন্ত তিনি চুপ করে রয়েছেন এবং তাঁর দলের গুণ্ডাবাহিনী সন্ত্রাস চালাচ্ছে। নির্বাচনে হার-জিত থাকেই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দলীয় নেতার ঊর্ধ্বে উঠে রাজধর্ম পালন করা উচিত।”

অন্যদিকে, বিজেপির ফলাফলের প্রশংসা করে তিনি জানান, বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিজেপি নির্বাচনে জয়ী না হলেও তাদের ভোটের শতাংশ অনেকাংশে বেড়েছে।

আরও পড়ুুন: ‘সংবাদমাধ্যমের সম্প্রচারে সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত নয়’, সমালোচনায় উলট পুরাণ নির্বাচন কমিশনের মুখে

Next Article