আগরতলা: ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে সোমবার ত্রিপুরায় পা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রথম দিনই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বুঝিয়ে দিলেন, একটুও ধীরে চলার মেজাজে তিনি নেই। বরং প্রথম থেকেই সর্বোচ্চ ক্ষমতা নিয়ে সরকার গড়ার লক্ষ্যেই ঝাঁপাবে তৃণমূল। আক্রমণাত্মক শরীরী ভাষা এবং শ্লেষাত্মক বাচনভঙ্গির মাধ্যমে সরাসরি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে নিশানায় নেন তিনি। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তাঁর পরামর্শ, “বিপ্লববাবু, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্যাডটা ছাপিয়ে রাখুন।”
যদিও ত্রিপুরায় পা রাখার পর প্রথম দিনটা খুব একটা মসৃণ হয়নি অভিষেকের। প্রতি পদে বিজেপির বিক্ষোভ এবং গো ব্যাক স্লোগানের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। এমনকী, অভিষেকের গাড়ির উপর বাঁশ পিটিয়ে গাড়ির কাচও ভেঁঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে এসবে দমতে নারাজ তৃণমূলের যুবরাজ। লক্ষ্য় যে ত্রিপুরা জয়, সেটা বুঝিয়ে দিতে অভিষেক এ দিন বলেন, এ বার থেকে মাসে তিন-চার করে ত্রিপুরা সফর করবেন তিনি।
বিপ্লব দেবকে কার্যত ওপেন চ্যালেঞ্জ করার কায়দায় অভিষেক বলেন, “ত্রিপুরা তৃণমূল আজ পা রাখল। দেড় বছরে সরকার গড়ে তবে তৃণমূল ত্রিপুরা ছাড়বে। বিপ্লববাবু পারলে আটকান। ১৫ দিনের মধ্যে আবার আসছি। বিপ্লববাবুকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি, এ বার পারলে ত্রিপুরা সামলে নেবেন।” উত্তর-পূর্বের ছোট্ট এই বাঙালি রাজ্যে সরকার গঠনের দাবি যে কেবল নিরর্থক নয় তা বুঝিয়ে দিতে বুথ কমিটি তৈরির ঘোষণাও করেন অভিষেক। ৩০০০ টি বুথেই তৃণমূলের কমিটি থাকবে বলে জানান তিনি।
যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে ত্রিপুরায় বামেদের সঙ্গে জোটের কোনও পরিকল্পনাই নেই বলে সোমবার জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। বরং বাম শিবিরে থাকা ভাল লোকদের দলে শামিল হওয়ার আহ্বান তিনি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে অভিষেক বলেছেন, বিজেপি নেতারা যতবার ত্রিপুরায় যাবেন, তাঁর গুণ বেশিবার তিনি যাবেন ত্রিপুরায়। আরও পড়ুন: ‘কমিশন বলছে খুন হয়েছে ৫২, রাজ্য বলছে ২২’, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সওয়াল আইনজীবীর