আগরতলা: এবার গাঁজা (cannabis) চাষকে বৈধ তকমা দেওয়ার উদ্যোগ আরও এক রাজ্যে। গ্রামাঞ্চলে এই গাঁজা চাষ করেই দিন চলে অনেকের। কিন্তু বৈধতা না থাকায় লাভ হয় না তেমন। তবে এই চাষ বৈধ হলে বাড়বে রোজগার, প্রভাব পড়বে রাজ্যের অর্থনীতিতেও। তাই এবার সেই উদ্যোগই নিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Deb)। বিধানসভাতেই সেই উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন তিনি।
শাসক দলেরই এক বিধায়কের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানিয়েছেন বিপ্লব দেব। বিজেপি বিধায়ক দিবা চন্দ্র রাংখল বিধানসভায় এই প্রশ্ন তোলেন। তাঁর দাবি ছিল, ত্রিপুরার মাটি গাঁজা চাষের অত্যন্ত উপযোগী। বাজেট অধিবেশন চলাকালীন তিনি বলেন, “রাজস্ব আদায়ের খুব বেশি সুযোগ নেই এই রাজ্যে, তাই অনেক ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের ওপর নির্ভর করতে হয়। ত্রিপুরার মাটি গাঁজা চাষের উপযোগী হওয়া সত্ত্বেও অবৈধ হওয়ায় অনেক চাষীই আর্থিক অনটনে ভোগেন।” তিনি আরও বলেন গাঁজা চাষ যদি বৈধ হয়, “তাহলে অনেকেই উপকৃত পবেন ও রাজস্ব আদায় করাও সম্ভব হবে।” গাঁজার উপকারিতার কথাও উল্লেখ করেন রাংখল। তিনি জানান, এর অনেক গুণাগুনও রয়েছে। আর অনুমোদন না থাকলেও অবৈধভাবে তা বিক্রির কারবার চলছে বলেও জানান তিনি।
এই সব যুক্তি শুনে এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা কথা জানিয়েছেন বিপ্লব দেব। গাঁজা চাষ বৈধ করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষ কমিটি তৈরি হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “এটা সত্যি যে গাঁজা থেকে ভাল রোজগার হতে পারে।”
এর আগে ত্রিপুরায় বিজেপির মুখপাত্র প্রসেনজিত চক্রবর্তী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন গাঁজার উপযুক্ত ব্যবহারে কীভাবে দেশ উপকৃত হতে পারে। এই বিষয়ে গবেষণার জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠনের আর্জিও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘ভূতেরা কখনও মরে না’, বামেদের কটাক্ষ বিপ্লব দেবের
বিরোধীরা অবশ্য মনে করিয়ে দিচ্ছেন ত্রিপুরাকে মাদক-মুক্ত করার কথা বলেছিল এই বিজেপি সরকার। তবে বিজেপি বিধায়ক দিবা চন্দ্র রাংখলের দাবি, দেশে তৈরি মদ যদি বৈধ হতে পারে তাহলে গাঁজা হবে না কেন? উল্লেখ্য রাজ্য জুড়ে গাঁজা চাষের ওপর বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।