আগরতলা: পুরভোটের ভোটগণনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হল ত্রিপুরাকে (Tripura)। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, আদালতে মামলার মাঝেই গত বৃহস্পতিবার আগরতলায় পুরসভা ভোটগ্রহণ হয়। ভোট কেন্দ্র করে সেদিন রাজ্যজুড়ে যে অশান্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল, তা মাথায় রেখেই আজ অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করা হয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও রাজ্য়ের তরফে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেল ও কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন থাকবে রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে। ভোট গণনা শেষ হওয়া অবধি প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিত থাকবে বলেই জানানো হয়েছে। পুলিশের অ্যাসিস্টেন্ট ইন্সপেক্টর জেনারেল সুব্রত চক্রবর্তীও একটি বিবৃতি জারি করে রাজ্যবাসীকে ভুয়ো খবর থেকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছেন।
তিনি বলেন, “আগরতলা পুরসভা, ৬ নগর পঞ্চায়েত, ৭টি পৌর পরিষদ মিলিয়ে মোট ১৩টি কেন্দ্রে ভোট গণনা হচ্ছে। ভোট গণনায় যাতে কোনও বিশৃঙ্খল বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, তার জন্য রাজ্যজুড়েই পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রেই ত্রি-স্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও রাজ্য পুলিশ ও ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলও উপস্থিত থাাকবে।”
পুরসভা, নগর পঞ্চায়েত সহ মোট ৩৩৪টি আসনের প্রতিটিতেই প্রার্থী দিয়েছিল শাসক দল বিজেপি। এরমধ্যে ১১২টি আসনে অন্য কোনও দল প্রার্থী না দেওয়ায়, সেই আসনগুলিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে বিজেপি। এদিকে, ভোটগ্রহণের আগে থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে ভয় দেখানো, হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিআই(এম)। ভোটের দিন তৃণমূলের একাধিক কর্মী আক্রান্ত হওয়ায় তারা থানা ঘেরাও করে। সিপিআইএমের তরফেও থানা ঘেরাও করা হয়। দুই দলই পুনর্নিবাচনের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে, ত্রিপুরার বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য গতকালই একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, ভোট গণনা ও ফল প্রকাশ নিয়ে দলীয় কার্যকর্তাদের বৈঠক করা হয়েছে। সমস্ত কর্মীদের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। শীর্ষ নেতাদের নির্দেশ মেনেই দলের ঐতিহ্য় বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।