আগরতলা : কয়েকদিন পরই ত্রিপুরায় চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে মঙ্গলবার ত্রিপুরায় যাচ্ছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরই মধ্যে অভিষেকের ত্রিপুরা সফরের আগে ফের পড়শি রাজ্যে আক্রান্ত মমতার দল। ঘটনাটি ঘটেছে আগরতলায় এক পথসভায়। অভিযোগ, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ঘিরে ইটবৃষ্টি চলেছে। আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের ওই পথসভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলার মন্ত্রী গোলাম রব্বানিও। উপনির্বাচনে ওই এলাকা থেকে তৃণমূল প্রার্থী করেছে পান্না দেবকে। তাঁকে নিয়েই এক নির্বাচনী পথসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। অভিযোগ, সেখানেই এক দল দুষ্কৃতী হামলা চালায় এবং ইটবৃষ্টি করে। তৃণমূলের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই বিজেপি আশ্রিত। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পদ্ম শিবির।
উল্লেখ্য, এই পান্না দেব এর আগেও ত্রিপুরার রাজনীতিতে একাধিকবার চর্চায় উঠে এসেছিলেন। অতীতে ২০২১ সালে ত্রিপুরার পুরভোটে পান্না দেবকে তৃণমূল প্রার্থী করেছিল আগরতলা পুরসভায়। সেই সময়ও তাঁর সভায় দুষ্কৃতীদের হামলার অভিযোগ উঠেছিল। পান্না অনুগামীদের মারধরেও অভিযোগ ছিল। সেই নিয়ে পুলিশের কাছে নালিশও জানিয়েছিলেন পান্না দেব। ধর্নাতেও বসেছিলেন। এবার ত্রিপুরায় বিধানসভা উপনির্বাচনের মুখে আবারও সেই পান্না দেবের সভাতেই হামলার অভিযোগ।
তৃণমূলের এক মহিলা সমর্থকের অভিযোগ, ঘাসফুলের সভা চলাকালীন বিজেপি সমর্থকরা তাদের সভা চালীন হামলা চালায় এবং ঢিল ছুড়তে শুরু করে। তৃণমূলের বক্তব্য, কুণাল ঘোষ সভায় বক্তৃতা দেওয়া শুরু করতেই কিছু বিজেপি সমর্থকদের একটি মিছিল সভাস্থলের পাশ দিয়ে যায়। সেই সময়ই পাথ ছোড়া শুরু করে।
কুণাল ঘোষ বলেন, “এখানে সকাল থেকে অশান্তি করছে। পান্না দেবকে মিটিং করতে দেবে না। মঞ্চ ভেঙে দিচ্ছে, প্লাকার্ড ভেঙে দিচ্ছে। এত পুলিশ রয়েছে। এই রাস্তার উপর দিয়ে বিজেপির গোটা কয়েক লোক বার বার যাচ্ছে। গালমন্দ করছে। হুমকি দিচ্ছে, স্লোগান দিচ্ছে এবং অন্ধকার থেকে ইট মারছে। একজন মহিলার লেগেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকাকালীন কীভাবে এই কাণ্ড হতে পারে?” যদিও তৃণমূলের এই জাতীয় অভিযোগ অস্বীকার করছে বিজেপি শিবির।