কলকাতা : বাংলার বাইরে দ্বিতীয় কোনও রাজ্যে বিধানসভা দখল করতে যে মরিয়া তৃণমূল, সেই ইঙ্গিত মিলেছে। তৃণমূলের ‘হিট লিস্টে’ যে সব রাজ্যের নাম আছে, তার মধ্যে অন্যতম ত্রিপুরা। প্রতিবেশী এই রাজ্যে পুরভোটের আগে ঘাসফুল শিবিরের নেতা-নেত্রীদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে দেখা গেল, মাত্র ২৮ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল। মোট ৬০ টি কেন্দ্রের এই বিধানসভায় মাত্রা ২৮ টি আসনে কেন প্রার্থী দেওয়া হল? তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
তৃণমূলের ব্যাখ্যা হল, যেখানে তারা লড়াই করতে পারবে, যেখানে ভাল প্রার্থী দেওয়া যাবে, সেখানেই লড়তে তারা। অর্থাৎ যেখানে বিপক্ষকে টক্কর দেওয়ার মতো ক্ষমতা থাকবে, সেখানেই ময়দানে নামবে ঘাসফুল শিবির।
এরই মধ্যে সামনে আসছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সদস্য প্রদ্যোৎ মানিক্য দেববর্মার দল ‘টিপ্রা মোথা’ প্রার্থী দিয়েছে ৪২ টি আসনে। মূলত ত্রিপুরার আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে টিপ্রা মোথার প্রভাব রয়েছে। এই দুই দল কেন ৬০ টি আসনে প্রার্থী দিল না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ দিন। তৃণমূলকে টিপ্রা মোথা কোনও আসন ছেড়ে দিচ্ছে কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছে রাজনৈতিক মহল। যদি তাই হয়, তাহলে বুঝে নিতে হবে, ‘টিপ্রা মোথা’র সঙ্গে অলিখিত আসন সমঝোতায় যাচ্ছে তৃণমূল। বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলে তৃণমূল, জনজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে লড়াই করবে টিপ্রা, এমন সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
দুই দল আসন ছেড়ে রাখায় জল্পনা বাড়ছে। ত্রিপুরায় এবার একদিকে রয়েছে বিজেপি, একদিকে বাম-কংগ্রেস জোট। এছাড়া লড়ছে টিপ্রা মোথা ও তৃণমূল কংগ্রেস। টিপ্রা ও তৃণমূল আলাদা আলাদা লড়াই না করলে চতুর্মুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে টিপ্রা মোথা আগেই জানিয়েছে, তারা এবার একাই লড়বে। তৃণমূলও কোনও জোটের কথা জানায়নি। তবু রাজনৈতিক জল্পনা জারিই থাকছে।