Tripura BJP: কী এমন দেখা গেল দলীয় সমীক্ষায়? কেন তড়িঘড়ি সরলেন বিপ্লব?

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 17, 2022 | 12:55 AM

Tripura BJP: পোড় খাওয়া বিজেপি নেতা মানিক সাহার নামই মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য প্রস্তাব করেন বিপ্লব দেব। সোমবারই শপথ নিয়েছেন মানিক।

Tripura BJP: কী এমন দেখা গেল দলীয় সমীক্ষায়? কেন তড়িঘড়ি সরলেন বিপ্লব?
কেন বদল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী?

Follow Us

অঞ্জন রায়, কলকাতা : সম্প্রতি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন বিপ্লব দেব। আর তারপর গত শনিবার আচমকা মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন তিনি। ত্রিপুরায় মানিক সরকারের পতনের পর তরুণ মুখ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী পদে বিপ্লবকে নিয়ে এসেছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই তাঁর ইস্তফার বার্তা কার্যত অবাক করেছে রাজনৈতিক মহলকে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কী এমন হল যে এ ভাবে তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে গেলেন বিপ্লব দেব? কেন মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে হল ত্রিপুরা তে?

শুধুই কি দলাদলি? নাকি মুখ্যমন্ত্রী পদে অন্য কোনও দাবিদার থাকাতেই এই সিদ্ধান্ত? রাজনৈতিক মহলের মতে, এমনটা বোধ হয় নয়। ত্রিপুরা সরকার ঠিক মতো চালানো হয়নি, তাই এই বিপর্যয়। বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, গত সপ্তাহে দলীয় এক সমীক্ষা রিপোর্ট সামনে এসেছে। আর সেই রিপোর্টে যে চিত্র উঠে এসেছে, তা গেরুয়া শিবিরের জন্য বেশ উদ্বেগজনক। সরকার বাঁচাতে তাই দ্রুত এই মুখ বদল বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, বিজেপির সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এখন বিধানসভা নির্বাচন হলে বিজেপি আসন পাবে ১২ টি। গতবার তারা পেয়েছিলো ৩৩ টি আসন। বামেরা পাবে ১৮ থেকে ২০ টি আসন, গতবার যারা পেয়েছিল ১৪ টি। কংগ্রেস এবং তৃণমূল যৌথভাবে ১০ থেকে ১২ টা আসন পাবে বলেও উল্লেখ রয়েছে সমীক্ষায়। এর মধ্যে কংগ্রেসের আসন বেশি হতে পারে বলেও দাবি। আর ত্রিপুরার মথা ট্র্যাইবাল অ্যলায়েন্স পেতে পারে ২০ টি আসন, যাঁরা বাঙালি বিরোধী হিসেবেই পরিচিত। বাম, কংগ্রেস এবং মথা থেকে কেউ কেউ চলে এসে জোট করলে বিজেপি সরকার গড়তে পারবে না বলেও আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্র বলছে, এই রিপোর্ট পেয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রীতিমতো চিন্তিত। সরকার যাতে কোনও ভাবে না হাতছাড়া হয়, তাই দ্রুত মুখ বদল করল বিজেপি। তৃণমূল এলেও বিরোধী ভোট ভাগ করার সুফল ও বিজেপি পাচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই আর দেরি না করে এই সিদ্ধান্ত। দলের অন্দরে আরও কিছু বদল আনতে চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে এত কিছু করেও শেষ পর্যন্ত সরকার ধরে রাখা যাবে কি না তা নিয়ে গুঞ্জন চলছে রাজনৈতিক মহলে।

Next Article