কলকাতা: যাত্রী বোঝাই ট্রেন, অর্ধেক রাস্তা পেরিয়ে আসার পর আবার উল্টো পথেই ফিরে গেল ট্রেন (Train)। তাও আবার ৩৮০ কিলোমিটার! বিশ্বভ্রমণ না হোক, ট্রেনে চেপে অন্তত ভারত ভ্রমণ হয়ে গেল শতাধিক যাত্রীর। নির্ধারিত সময়ের ৫৪ ঘণ্টা বাদে অবশেষে গন্তব্যে এসে পৌঁছল ট্রেন। ঘটনাটি ঘটেছে ডাউন ত্রিবান্দম-শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের (Trivandrum-Shalimar Superfast Express) যাত্রীদের সঙ্গে।
জানা গিয়েছে, শনিবার নির্ধারিত সময়েই তিরুবনন্তপুরম থেকে ছাড়ে ২২৬৪১ ডাউন ত্রিবান্দম-শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস।সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় শালিমার পৌঁছনোর কথা ছিল ট্রেনটির। রবিবার দুপুরে বিজয়ওয়াড়া অতিক্রম করে ট্রেনটি। রাতে ট্রেনটি বিশাখাপত্তনমের কাছে পৌঁছয়। সেখানেই এসে জানা যায়, সামনে বিজয়নগরম-কোটাভালসার কাছে আলামান্দা-কান্তাকাপল্লীর মাঝে রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। সিগন্যাল না মানায়, চালকের ভুলে একই লাইনে চলে আসে বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেন ও বিশাখাপত্তনম-পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেন। পালাসা প্য়াসেঞ্জারে পিছন থেকে ধাক্কা মারে রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেন। উল্টে যায় রায়গড় প্যাসেঞ্জারের ইঞ্জিন। লাইনচ্যুত হয় একাধিক কামরা।
এই দুর্ঘটনার জেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনেই দাঁড়িয়ে থাকে বাকি সমস্ত ট্রেন। আটকে ছিল ডাউন ত্রিবান্দম-শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। কিন্তু এরপরই উল্টো পথে রওনা দেয় ট্রেনটি। সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ বিশাখাপত্তনম থেকে বিজয়ওয়াড়াতেই ফের পৌঁছয় ট্রেনটি। ৩৪০ কিলোমিটার উল্টো পথে যায় ট্রেনটি।
আবার সকাল সাড়ে ১০টায় ট্রেনটি ছাড়ে। এবার নতুন রুট ঠিক হয়, দক্ষিণ ভারতের বদলে নাগপুর দিয়ে শালিমার আসবে ট্রেনটি। শেষমেশ ৫৪ ঘণ্টা বাদে, বুধবার শালিমারে এসে পৌছয় ডাউন ত্রিবান্দম-শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। ভাগ্যক্রমে ট্রেনে প্যান্ট্রি কার থাকায় অনাহারে থাকতে হয়নি যাত্রীদের।
দিপালী বোস নামক ওই ট্রেনেরই এক যাত্রী জানান, ৫৪ ঘণ্টা লেট করে ট্রেনটি পৌঁছনোয় যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ ছিল না। রেলওয়ের তরফেও যাত্রীদের কোনও সাহায্য করা হয়নি। বরং পান্ট্রি কারের কর্মীরাই যাত্রীদের অনেক সহায়তা করেন। খাবার প্রায় ফুরিয়ে গেলেও, যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে শেষ অবধি তাঁরা জলের দাম কমই রেখেছিলেন।