Parliament Session : অন্ধ্র বিল নিয়ে বলতে গিয়ে তেলঙ্গানা নিয়ে ‘বিতর্কিত মন্তব্য’, মোদীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব পেশ টিআরএস-এর

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Feb 10, 2022 | 1:01 PM

privilege Motion against PM Modi : বৃহস্পতিবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনা হল। অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন বিল নিয়ে রাজ্যসভায় মোদীর সাম্প্রতিক বিবৃতির বিরোধিতা করেই আজ সংসদে তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (TRS) এর সাংসদরা এই প্রস্তাব আনে।

Follow Us

নয়া দিল্লি : বৃহস্পতিবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনা হল। অন্ধ্র প্রদেশ পুনর্গঠন বিল নিয়ে রাজ্যসভায় মোদীর সাম্প্রতিক বিবৃতির বিরোধিতা করেই আজ সংসদে তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (TRS) এর সাংসদরা এই প্রস্তাব আনে। এই বিষয় নিয়ে সংসদের উচ্চ কক্ষে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন সাংসদরা। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন টিআরএস কর্মী এবং কংগ্রেসের বিক্ষোভের পর আজ এই প্রস্তাব আনল টিআরএস সাংসদরা।

মঙ্গলবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ জ্ঞাপন বিতর্কের জবাব দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় মোদী কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ (UPA) সরকারকে আক্রমণ করেন। মোদী জানান, সংসদে এপি পুনর্গঠন বিলের কোনও আলোচনা না করে ২০১৪ এর ফেব্রুয়ারি “তাড়াতাড়ি” তা পাস করিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) তেলঙ্গানা গঠনের বিরুদ্ধে ছিল না। কিন্তু যখন সেই বিলটি লোকসভায় উত্থাপিত করা হয় তখন সংসদের মাইক্রোফোন এবং দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি সেইসময় কংগ্রেস সাংসদরা পেপার স্প্রে ব্যবহার করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছিন, “বিভাজন বিলটি কোনও বিতর্ক ছাড়াই পাস করা হয়েছিল এবং বিভাজন প্রক্রিয়া নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কোনও পরামর্শ করা হয়নি, সেই কারণে উভয়পক্ষের মধ্যে তিক্ততা অব্যাহত রয়েছে।” এই মন্তব্য নিয়েই বিতর্ক বাধে। টিআরএস সংসদীয় নেতাদের অভিযোগ, অন্ধ্র প্রদেশ পুনর্গঠন বিলটি সংসদের সব নিয়ম এবং রীতিনীতি মেনেই পাস হয়েছিল। তা সত্ত্বেও এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য তেলঙ্গানার পুনর্গঠনকে অপমান করে। এর পাশাপাশি সংবিধান এবং সংসদকেও অসম্মান করে। এই বিষয় নিয়ে টিআরএস সাংসদরা প্রশ্ন তুলেছেন যেখানে সংসদের প্রতিটি দল এই বিলটিকে সমর্থন জানিয়েছিল সেখানে এই  বিলটি কীভাবে অসাংবিধানিক এবং অবৈজ্ঞানিক হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে তেলঙ্গানার বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেস এবং টিআরএস বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তুলিকাও পোড়ানো হয়। টিআরএস কর্মীরা কালো ব্যাজ পরে ও কালো পতাকা নিয়ে মোটরসাইকেল র‌্যালি বের করেন। বিক্ষোভ মিছিল থেকে বাতাসে কালো বেলুনও উড়ানো হয়। হায়দরাবাদে মন্ত্রী তালাসানি শ্রীনিবাস যাদবের নেতৃত্বে টিআরএস কর্মীরা বিধানসভার সামনে তেলঙ্গানা শহিদ স্মৃতিসৌধেও বিক্ষোভ দেখান।

গতকাল নয়া দিল্লিতে একটি সংবাদ মাধ্যমে  টিএরএস সংসদীয় নেতা কে কেশব রাও জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি তেলঙ্গানার মানুষদের অপমান করেছেন। সংসদে সর্বসম্মতিতে বিল পাসের ভিত্তিতে তেলঙ্গনা রাজ্যের গঠনের বিরুদ্ধে এহেন মন্তব্য় আন্দোলনকারী তথা তেলঙ্গানার জনগণের জন্য অপমানজনক। টিআরএস নেতারা দাবি করেছিলেন যে মোদীকে তেলঙ্গানার জনগণের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। যাঁরা একটি পৃথক রাজ্যের জন্য কয়েক দশক ধরে সংগ্রাম করেছিল তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

নয়া দিল্লি : বৃহস্পতিবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনা হল। অন্ধ্র প্রদেশ পুনর্গঠন বিল নিয়ে রাজ্যসভায় মোদীর সাম্প্রতিক বিবৃতির বিরোধিতা করেই আজ সংসদে তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (TRS) এর সাংসদরা এই প্রস্তাব আনে। এই বিষয় নিয়ে সংসদের উচ্চ কক্ষে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন সাংসদরা। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন টিআরএস কর্মী এবং কংগ্রেসের বিক্ষোভের পর আজ এই প্রস্তাব আনল টিআরএস সাংসদরা।

মঙ্গলবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ জ্ঞাপন বিতর্কের জবাব দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় মোদী কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ (UPA) সরকারকে আক্রমণ করেন। মোদী জানান, সংসদে এপি পুনর্গঠন বিলের কোনও আলোচনা না করে ২০১৪ এর ফেব্রুয়ারি “তাড়াতাড়ি” তা পাস করিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) তেলঙ্গানা গঠনের বিরুদ্ধে ছিল না। কিন্তু যখন সেই বিলটি লোকসভায় উত্থাপিত করা হয় তখন সংসদের মাইক্রোফোন এবং দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি সেইসময় কংগ্রেস সাংসদরা পেপার স্প্রে ব্যবহার করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছিন, “বিভাজন বিলটি কোনও বিতর্ক ছাড়াই পাস করা হয়েছিল এবং বিভাজন প্রক্রিয়া নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কোনও পরামর্শ করা হয়নি, সেই কারণে উভয়পক্ষের মধ্যে তিক্ততা অব্যাহত রয়েছে।” এই মন্তব্য নিয়েই বিতর্ক বাধে। টিআরএস সংসদীয় নেতাদের অভিযোগ, অন্ধ্র প্রদেশ পুনর্গঠন বিলটি সংসদের সব নিয়ম এবং রীতিনীতি মেনেই পাস হয়েছিল। তা সত্ত্বেও এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য তেলঙ্গানার পুনর্গঠনকে অপমান করে। এর পাশাপাশি সংবিধান এবং সংসদকেও অসম্মান করে। এই বিষয় নিয়ে টিআরএস সাংসদরা প্রশ্ন তুলেছেন যেখানে সংসদের প্রতিটি দল এই বিলটিকে সমর্থন জানিয়েছিল সেখানে এই  বিলটি কীভাবে অসাংবিধানিক এবং অবৈজ্ঞানিক হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে তেলঙ্গানার বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেস এবং টিআরএস বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তুলিকাও পোড়ানো হয়। টিআরএস কর্মীরা কালো ব্যাজ পরে ও কালো পতাকা নিয়ে মোটরসাইকেল র‌্যালি বের করেন। বিক্ষোভ মিছিল থেকে বাতাসে কালো বেলুনও উড়ানো হয়। হায়দরাবাদে মন্ত্রী তালাসানি শ্রীনিবাস যাদবের নেতৃত্বে টিআরএস কর্মীরা বিধানসভার সামনে তেলঙ্গানা শহিদ স্মৃতিসৌধেও বিক্ষোভ দেখান।

গতকাল নয়া দিল্লিতে একটি সংবাদ মাধ্যমে  টিএরএস সংসদীয় নেতা কে কেশব রাও জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি তেলঙ্গানার মানুষদের অপমান করেছেন। সংসদে সর্বসম্মতিতে বিল পাসের ভিত্তিতে তেলঙ্গনা রাজ্যের গঠনের বিরুদ্ধে এহেন মন্তব্য় আন্দোলনকারী তথা তেলঙ্গানার জনগণের জন্য অপমানজনক। টিআরএস নেতারা দাবি করেছিলেন যে মোদীকে তেলঙ্গানার জনগণের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। যাঁরা একটি পৃথক রাজ্যের জন্য কয়েক দশক ধরে সংগ্রাম করেছিল তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

Next Article