গুয়াহাটি: সামান্য টিভি সারাই কর্মী। কাজিরাঙায় সরকারি গেস্ট হাউসে কাজ করেন। হঠাৎ শুনলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসছেন। রাতে থাকবেন গেস্ট হাউসে। এরপর যখন তাঁর কাছে ফতোয়া এল যে রাতে থেকে যেতে হবে, প্রধানমন্ত্রীর ঘরে কোনও দরকার পড়লে, সেই কাজের জন্য, তা শুনে তো হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেল। যেটার ভয় পেয়েছিলেন, সেটাই হল। প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঘরে ডাক পড়ল। সেখানে গিয়ে কী অভিজ্ঞতা হল তাঁর, জানেন?
গত ৯ মার্চ অসমের কাজিরাঙায় জঙ্গল সাফারিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কখনও জিপে, কখনও হাতির পিঠে চেপে জঙ্গল ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে “বন দুর্গা”দের সঙ্গে দেখা করেন, কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ওখানেই গেস্ট হাউসে কর্মরত এক টিভি অপারেটর জানান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল। কাজিরাঙায় ডিশ টিভি কো-অর্ডিনেটর ও টিভি অপারেটর বিট্টু দত্ত বলেন, “আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি যে কোনওদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাব।”
বিট্টু বলেন, “আমি ডিশ টিভি কোঅর্ডিনেটর হিসাবে কাজ করি। এইচআর আমায় বলেন যে প্রধানমন্ত্রী আসছে, আমি যেন থেকে যাই। এরপরে এসপিজি কম্যান্ডোরা আসে, আমায় কোথাও যেতে বারণ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী রুমে গিয়ে তাঁর পছন্দসই টিভি চ্যানেল খুঁজে পাচ্ছিলেন না। আমি গিয়ে চ্যানেলটা খুঁজে দিই। টিভিতে কিছু সমস্যা হওয়ায় কিছুক্ষণ বাদেই আবার ডাক পড়ে আমার। প্রধানমন্ত্রী আমায় বলেন, টিভি চালা দো। এরপরে তিনি আমায় জিজ্ঞাসা করেন, আমার বাড়ি কোথায়। আমি বলি যে কাজিরাঙারই বাসিন্দা।”
বিট্টু বলেন, “আমার আনন্দ যেমন হচ্ছিল, তেমনই ভয়ও লাগছিল। আমি ঘরে ঢুকতেই বুক ধড়ফড় করতে শুরু করে। কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি যেব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারব না। টেনশনে তো আমার রাতে ঘুমই হয়নি। তবে ওনার মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে দেখা করতে পেরে অসাধারণ অনুভূতি হচ্ছে।”
তিনি জানান, কাজিরাঙায় থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী মোদী ডিডি নিউজ দেখছিলেন। এছাড়া কয়েকটি গুজরাটি চ্যানেলও দেখেন নমো।