রাজনীতি, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও সুশাসন-দেশ পরিচালনের মূল স্তম্ভগুলিকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যেই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে TV9 নেটওয়ার্ক। দেশের সাফল্য থেকে সমস্যা, যাবতীয় বিষয় নিয়েই আলোচনার জন্য TV9 নেটওয়ার্কের তরফে আয়োজন করা হয়েছে এক বিশ্ব সম্মেলনের। দু’দিন ধরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশ-বিদেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। এই সম্মেলনের দ্বিতীয় উপস্থিত থাকবেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, মেঘালয়ের মুখ্য়মন্ত্রী কোনরাড কে সাংমা। “ভারতের বিশ্বগুরু হয়ে ওঠার পথ” -র নীল নকশা তৈরি হবে এই দু’দিনের আলোচনা থেকে।
কেন্দ্রের তরফে খুব ভাল পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খেলো ইন্ডিয়াও একটি ভাল পরিকল্পনা। কিন্তু যখন একে বাস্তবায়িত করার দিকে যাওয়া হয় তখন এর সঙ্গে রাজ্যও জুড়ে যায়। রাজ্যগুলিতে গ্রাউন্ড লেভেলে এর যথাযথ বাস্তবায়ন হয় না। খেলোয়াড়দের উপর নজর দেওয়া হয় না। কোনও বড় শহরে ট্রায়াল হলে শুধুমাত্র সেই শহরের খেলোয়াড়ই পাওয়া যায়। আশেপাশের এলাকার খেলোয়াড়রা বাদ পড়ে যায়। সত্যি বলতে গেলে ২০২৪ সালে ৫০ টি পদক আমরা পাব না। আমাদের বাস্তবের আয়নায় দেখতে হবে। ৫০ টি পদক আনা সম্ভব, কিন্তু তার জন্য সময় লাগবে।
প্রাক্তন অ্যাথলিট অঞ্জু ববি জর্জ বলেছেন, আজকের খেলোয়াড়রা খুবই ভাগ্যবান যে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন পেয়েছেন। শুধু জিতে আসার পর নয়, অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের সময়ে এই জিনিসটা ছিল না। তিনি আরও বলেন, গত অলিম্পিকে আমরা স্বর্ণপদক পেয়েছি। আমাদের মধ্যে মেধার অভাব নেই। আমাদের মেধা খুঁজে বের করা তা তৈরি করতে হবে শুধু। টেকনিক্যাল ইভেন্টে আমরা ভাল আছি। কিন্তু ট্র্য়াকে আমাদের আরও কাজ করতে হবে। আমাদের খুব অল্প বয়স থেকেই খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে। এর জন্য ভাল কোচ তৈরি করাও প্রয়োজন।
ভারত অলিম্পিকে ৫০ টি পদক জিততে পারে? এ প্রশ্নের জবাবে প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পুল্লেলা গোপীচাঁদ বলেন, এটা সম্ভব। এজন্য বিজ্ঞানসম্মতভাবে এগিয়ে যেতে হবে। গত কয়েক বছরে সরকারে তরফে গৃহীত বিভিন্ন প্রচেষ্টার ভাল ফল পাওয়া যাচ্ছে। ৫০ টি পদকের লক্ষ্য পূরণের জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করে যেতে হবে। ব্যাডমিন্টন প্রসঙ্গে, ভারত বর্তমানে এই খেলায় যেই জায়গায় রয়েছে সেখানে পদক জয় করা যেতেই পারে। সেক্ষেত্রে এখানে আমাদের খেলোয়াড়ের কর্মদক্ষতা ও গুণের দিক তাঁকে বিচার করতে হবে। এই সময় অকাজের জিনিসের বদলে খেলোয়াড়ের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ইতিহাস পাল্টানোর অভিযোগে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, আমরা ইতিহাস বদলাচ্ছি না। ইতিহাসে আরও সংযুক্ত করা হচ্ছে। ইতিহাসের পাতায় কেউ কেউ বাদ পড়ে গিয়েছিলেন। আমরা তাঁদের জুড়ছি। একে কীভাবে ইতিহাস বদলানো বলা যেতে পারে।
জাতীয় শিক্ষানীতিতে কোনও ভাষাকেই কম গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এওই শিক্ষানীতিতে মাতৃভাষাতে পাঠদানের কথা বলা হয়েছে। এতে কখনোই শুধু হিন্দি বা ইংরেজির উল্লেখ করা হয়নি। এখানে হিন্দি, মারাঠি, তেলুগু, তামিল, অহমিয়া সব ভাষার কথা বলা হয়েছে। আমাদের জন্য এই সব ভাষাই রাষ্ট্রীয় ভাষা। জাতীয় শিক্ষানীতিতে এই ভাষাগুলির জন্য একটি ব্যবস্থা রয়েছে।
হেলথ ইজ় নিউ ওয়েলথ প্রসঙ্গে অ্যাপোলো হাসপাতালের গ্রুপ এমডি অনুপম সিবল করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেছেন, আমরা এই মহামারি খুব ভালভাবে মোকাবিলা করেছি। সেক্ষেত্রে আরোগ্য সেতু অ্যাপ বড় ভূমিকা পালন করেছে। ১.৬ কোটি মানুষ এটি ডাউনলোড করেছে। আগে আমাদের দেশে পিপিই তৈরি হত না। এখন আমরা তা রপ্তানি করছি। মৃ্ত্যুর হারের দিক থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে তা অনেক কম ছিল। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করার সময় অনুপম সিবল বলেছেন, ভারতে স্বাস্থ্যসেবা অনেক ভাল। সেই পরিষেবা শুধু গ্রাম অবধি পৌঁছে দিতে হবে। এক্ষেত্রে PMJAY-র মতো প্রকল্পগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
গুজরাট থেকে শুরু হয়েছে বালিকা পঞ্চায়েত। কীভাবে প্রশাসনিক কাজে মহিলাদের আনা যায় তার ওপর নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ নজর রয়েছে। গুজরাট সরকার এটি কার্যকর করেছে। জাতীয় শিশু দিবসে পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রকের মাধ্যমে সারা ভারতে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে। বর্তমানে আমাদের দেশে ১ কোটি ৯০ লক্ষ নারী বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন। বালিকা পঞ্চায়েত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
এদিন স্মৃতি ইরানির নিশানায় ছিলেন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তিনি জানিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থা তাদের কাজ করছে। তিনি বলেন, আমাদের যদি পুলিশ থেকে ডাকা হয় তাহলে আমরা কি বলতে পারি যে, আজকে আমি ব্যস্ত আছি, যেতে পারব না! আমরা কি আমাদের পরিচিতদের বলতে পারি যে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সেই সংস্থার উপর পাথর ছোঁড়ো। সত্যেন্দ্র জৈন প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন যে, আমি যখন সাংবাদিক সম্মেলন করি তখন তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যায়।
তিনি বলেছেন, সরকার মহিলাদের সুরক্ষার জন্য অনেকগুলি দৃঢ় পদক্ষেপ করেছে। দেশের যেসব পুলিশ স্টেশনে মহিলা ডেস্ক রয়েছে তার জন্য অর্থায়ন করে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের ৯০ শতাংশ জেলায় ওয়ান স্টপ সেন্টার রয়েছে। ৭০০ টিরও বেশি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তহবিলে চলে।
ভারত : বিশ্ব গুরু প্রসঙ্গে স্মৃতি ইরানি বলেছেন যে, করোনা টিকা রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত এক বন্ধুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। করোনাকালে ভারত মায়ের ভূমিকা পালন করেছে।
এদিন বিজেপির যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্যও কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেছেন, অগ্নিপথ প্রকল্পটি দেশের, এই ভারতমাতার সেবার জন্য। আমরা এখন ২১ শতকে রয়েছি। এই সময়ে দাঁড়িয়ে আমরা কীভাবে চাকরির নিরাপত্তার কথা বলছি? এটা ৭০-র দশকের ভারত নয়। অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে, একজন ১৭ বছর বয়সী ছেলে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে যখন চার বছর পর ২১ বছর বয়সে সেই কাজ থেকে অবসর নেবেন তখন তিনি একজন দক্ষ হয়েই বেরোবেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন অগ্নিপথ প্রকল্পের বিষয়েও বক্তব্য রাখেন। চার বছর পরে যেসব ‘অগ্নিবীররা’ সেনাবাহিনীতে বহাল থাকবেন না তাদের কর্মসংস্থানের কথা তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেছেন, শারীরিক শিক্ষকের ১৫-১৬ লক্ষ পদ শূন্য রয়েছে। সেইসব পদে এই যোগ্য ‘অগ্নিবীর’-দের শারীরিক প্রশিক্ষণ কোর্সের মাধ্যমে চাকরি দেওয়া যায় কিনা সেই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছি।
কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে অলিম্পিকের মঞ্চ, বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বক্তব্য রাখেন দেশের ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেছেন, ভারতের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের একটি বড় কারণ হল যোগব্যায়াম। তিনি বলেছেন, করোনাকালে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণ কঠিন ছিল। কিন্তু তা অতিক্রম করেছে ভারত। টোকিও অলিম্পিকে সবচেয়ে বেশি পদক জিতেছে ভারত। নীরজ চোপড়ার হাত ধরে ১২১ বছর ভারত প্রথম অ্যাথলেটিক্সে পদক জিতেছে। তিনি জানিয়েছেন, একজম খেলোয়াড় তৈরি করতে ৮-৯ বছর সময় লাগে। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ১০-১২ বছর পর অলিম্পিকে বিশ্বের সেরা ১০ টি দেশের মধ্যে নিজেদের জায়গা করে নেওয়া। সেই উদ্দেশ্যে আমরা খেলোয়াড়দের আর্থিক সাহায্য সহ একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেছেন যে, এই প্রকল্পটি দেশের জন্য খুব ভাল। অনেক রাজনীতিবিদ ব্যক্তিগত স্বার্থে না বুঝে এই নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। দেশের তরুণদের এই বিষয়ে বুঝিয়ে বলা হবে বলে জানান তিনি। অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে সারা দেশ জুড়ে বিক্ষোভের বিষয়ে তিনি বলেছেন যে, গণতন্ত্রে সকলের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। তবে বিশ্বে এমন কোনও দেশ নেই যেখানে প্রতিবাদ দেখিয়ে জিনিসপত্র জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
২০১৪ সালে মোদীর দায়িত্ব নেওয়ার আগে টেলিকম ক্ষেত্রের অবস্থা বেহাল ছিল। ২০১৪ সালে ৪জি চালু হয়। অগাস্ট, সেপ্টেম্বর থেকে চালু হবে ৫জি। ৪জি ও ৫জি পরিষেবার মিলিত ক্ষমতার জেরে ভারতবর্ষে একই সঙ্গে প্রায় ১০০ কোটি ফোন কল করা সম্ভব। ৪জি, ৫জি-তে অন্যান্য দেশের সমকক্ষ হলেও ৬জি-তে বিশ্বের শীর্ষ স্থান অধিকার করবে ভারত। বিশ্বাসযোগ্য প্ৰযুক্তি সরবরাহ করার ক্ষেত্রে ভারতের নাম আসে সর্বাগ্রে। এই বছরের মধ্যেই ২০-২৫টি শহরে চালু হবে ৫জি। বিশ্বে ৫জি-র মূল্য ২৫ ডলার, সেখানে ভারতে মূল্য ২ ডলার। বিশ্বের থেকে ১০ গুণ সস্তা ভারতীয় বাজারে ৫জি-র মূল্য: অশ্বিনী বৈষ্ণব
প্রতিরক্ষার ক্ষেত্র নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রমাণ করেছে যে দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি মিত্র দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বও নিতে হবে। যুদ্ধে কারোর উপর নির্ভর করা উচিত নয়। তিনি বলেন, ভারত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অনেক বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের সংরঞ্জামের ৬৫ শতাংশ দেশেই তৈরি হবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের সরঞ্জাম রপ্তানিতে এখন ভারত ২৫ টি শীর্ষ দেশের মধ্যে একটি। প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’-র প্রতিফলন দেখা গিয়েছে প্রতিরক্ষা খাতে বলে জানান তিনি।
এদিন বক্তব্য রাখার সময় তিনি জন ধন যোজনার কথা উল্লেখ করেন। এই বিষয়ে আলোচনার সময় তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সরকার চায় ভারতের প্রতিটি পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকুক। এটা হওয়া সম্ভব কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল তা দেশ করেছে। আগে যেসব ভর্তুকি পাঠানো হত তা কোথায় যেত সেসব নিয়ে কিছু বলবেন না বলে তিনি জানান। তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান, এখন বলা যেতে পারে, কেন্দ্রের তরফে ১০০ টাকা দেওয়া হলে সেই ১০০ টাকাই পৌঁছে যায় সেই উপভোক্তার কাছে।
এদিন সম্মেলনে উপস্থিত থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছেন যে, এটা সত্যি যে ভারত খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারত সেইসব দেশের তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে যেখানে যারা উন্নত দেশ হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
টিভি৯ নেটওয়ার্কের গ্লোবাল সামিটের দ্বিতীয় দিনের সূচনা হল রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য দিয়ে। তিনি বলেন,”আমি বিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি গত আট বছরে ভারত ‘ব্রেক আউট নেশন’ থেকে বেরিয়ে ‘স্ট্যান্ড আউট নেশন’ হয়েছে।” তিনি এদিন প্রধানমন্ত্রী ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ নীতি তুলে ধরেন।
টিভি৯ নেটওয়ার্কের দু’দিনের বিশ্ব সামিটে আজ উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ও মেঘলায়ের মুখ্যমন্ত্রী কোনরাড সাংমা। আজ এই বিশ্ব সম্মেলনে দেশের সামরিক শক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন রাজনাথ সিং।