নয়া দিল্লি: ক্ষমতায় ফিরলে সংবিধান বলে দেবেন মোদী? সম্প্রতি, কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়্গে এই দাবি করেছেন। তবে, সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, সংবিধান বদলের জন্য লোকসভা নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ আসন জয় প্রয়োজন। লোকসভার বর্তমান শক্তি অনুযায়ী, ৪০৪টি আসন। আসন্ন নির্বাচনে এনডিএ জোটের জন্য ৪০০ আসনের বেশি আসনে জয়ের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাহলে কি সংবিধান বদলের জন্যই আব কি বার ৪০০ পার-এর স্লোগান দিয়েছেন মোদী? TV9 ভারতবর্ষের সত্তা সম্মেলনের মঞ্চে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান কিন্তু সংবিধান বদলের প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিলেন। পাল্টা কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই তিনি সংবিধানের কণ্ঠরোধ করার অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, “১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সংবিধানের কণ্ঠরোধ করে রাখেনি কংগ্রেস? তাই আজ এই সব কথা বলার মানে কী? বিজেপি সংবিধান বদলে দেবে, আজ এই কথা বলার কোনও নৈতিক অধিকার নেই মল্লিকার্জুন খাড়্গেদের। আর ‘আগলি বার ৪০০ পার’ স্লোগান তো তিনিই শুরু করেছেন। তিনি বড় নেতা। তার সম্পর্কে আর কীই বা বলতে পারি।”
সংবিধান বদলের কথা উড়িয়ে দিলেও, মোদী সরকার ক্ষমতায় ফিরলেই এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলে, স্পষ্ট করে দিয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর মতে, এই লক্ষ্যেই এগোনো উচিত দেশের। তিনি বলেন, “ভিন্ন ভিন্ন সময়ে নির্বাচন হলে, অর্ধেক সময় উন্নয়নের কাজ থমকে যায়। নির্বাচনী বিধি প্রয়োগ করা হয়। দেশের নাগরিকদের এতে ক্ষতি হয়। এটা হওয়া উচিত নয়। দেশের নতুন প্রজন্মের জন্য, উন্নয়নের গতি আরও বাড়া উচিত। শুরুতে তো একসঙ্গেই নির্বাচন হত। পঞ্চাশের দশকে একসঙ্গেই লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন হত। ধীরে ধীরে বহুমতের না আসায়, জোট সরকার গঠনের কারণে, দলবদলের কারণে এই ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে বিরোধীরা বলত, এক দেশ, এক কর ব্যবস্থা চালু সম্ভব নয়। এক দেশ এক আইডেন্টিটি নম্বর সম্ভব নয়। আধার এসেছে, জিএসটি চালু হয়েছে। নয়া ব্যবস্থা তৈরি করলেই, ব্যবস্থার বদল হয়। আমাদের সরকারের ভাবনায় অগ্রাধিকার পায় দেশ।”
তবে, এক দেশ এক নির্বাচন চালুর জন্যও কিন্তু, ৪০৪ আসনে জেতা জরুরি বিজেপি তথা এনডিএ-র। গত কয়েক মাসে এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই লোকসভা এবং দেশের সকল বিধানসভার নির্বাচন একসঙ্গে করতে আগ্রহী। এই বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটিও।