হাইকোর্টে আপাতত স্বস্তি মিলল টুইটার কর্তার, দিতে হবে না হাজিরা

Jun 24, 2021 | 10:29 PM

তাঁর বয়ান রেকর্ড করার জন্য তলব করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

হাইকোর্টে আপাতত স্বস্তি মিলল টুইটার কর্তার, দিতে হবে না হাজিরা
প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

নয়া দিল্লি: জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছিল টুইটার ইন্ডিয়া (Twitter India)-র প্রধান মনীষ মাহেশ্বরীকে (Manish Maheswari)। নোটিস দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। আজ, বৃহস্পতিবার কর্ণাটক হাইকোর্টে (Karnataka High Court) স্বস্তি মিলেছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আপাতত তাঁকে উত্তরপ্রদেশে যেতে হবে না। রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে।

গাজিয়াবাদের বাসিন্দা এক মুসলিম বৃদ্ধের দাড়ি কেটে নেওয়ার ঘটনায় প্রথমে সাক্ষী ও পরে অভিযুক্ত হিসেবে টুইটার ইন্ডিয়া-র কর্ণধারকে তলব করা হয়েছিল। আদালতে হাজির হয়ে মনীষ জানান, ওই অভিযোগের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক না নেই। কয়েকজন ব্যক্তি একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। তিনি জানান, ১৭ জুন প্রথমে তাঁকে সাক্ষী হিসাবে সমন পাঠানো হয়েছিল, আর তার দু’দিন পরই আরও একটি সমন পাঠান। যেখানে তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করে গাজিয়াবাদে হাজিরা দেওয়ার জন্য বলা হয়।

ইমেলে নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ। তার জবাবে টুইটার ইন্ডিয়ার প্রধান জানিয়েছেন, তিনি অনলাইনে হাজিরা দিতে পারবেন। কিন্তু, উত্তরপ্রদেশের পুলিশ তাঁর প্রস্তাব মানেনি। তাঁকে সাত দিনের মধ্যে বক্তব্য রেকর্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২৩ জুনই কর্ণাটক হাইকোর্টে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন মহেশ্বরী। তারই শুনানি ছিল এ দিন।

আরও পড়ুন: বর্ষা আসতেই বেরিয়ে পড়ছে সেই ‘মর্মান্তিক ছবি’, পরপর ভেসে উঠছে দেহ

গত সপ্তাহে আব্দুল সামাদ নামে গাজিয়াবাদের এক মুসলিম বৃদ্ধ অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে মারধর করে ‘জয় শ্রীরাম’ এবং ‘বন্দে মাতরম’ বলতে বাধ্য করা হয়েছে। ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছিল। সেখানে সাম্প্রদায়িক হামলার দাবি তোলা হলেও, পুলিশ তদন্ত করে জানায়, ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রঙ চড়ানো হচ্ছে। এই অপরাধের জন্যই কয়েকজন সাংবাদিক, কংগ্রেস নেতার সঙ্গে সঙ্গে টুইটার প্রধানের নামেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।

Next Article