বর্ষা আসতেই বেরিয়ে পড়ছে সেই ‘মর্মান্তিক ছবি’, পরপর ভেসে উঠছে দেহ

চাপা দেওয়া দেহগুলির ওপর থেকে সরে যাচ্ছে বালি। ভেসে উঠছে দেহ।

বর্ষা আসতেই বেরিয়ে পড়ছে সেই 'মর্মান্তিক ছবি', পরপর ভেসে উঠছে দেহ
নদী থেকে তোলা হচ্ছে দেহ
Follow Us:
| Updated on: Jun 24, 2021 | 9:08 PM

প্রয়াগরাজ: গত মে মাসে উত্তরপ্রদেশ ও বিহার জুড়ে দেখা গিয়েছিল এক মর্মান্তিক ছবি। রাতের ঘুম ওড়ানো সে সব ছবি দেখা গিয়েছিল, নদীর ধারে ধারে সার দিয়ে পড়ে মৃতদেহ। গেরুয়া কাপড়ে ঢাকা সে সব দেহ বালির ওপরেই পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। মাস খানেক বাদে বর্ষা নামতেই বালি থেকে আবার বেরিয়ে পড়েছে সেই মৃতদেহ। পবিত্র প্রয়াগরাজে বর্ষায় বেড়েছ গঙ্গার জলস্তর। আর তাতেই ভেসে উঠছে একের পর এক দেহ। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৪০টি দেহ ভেসে উঠতে দেখা গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সে সব দৃশ্য। মৃতদেহগুলি নদী থেকে সরানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন।

স্থানীয়লোকজন ও সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় তোলা বেশ কিছু ছবি প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কোথাও মৃতদেহের চাপা থেকে গ্লাভসে ঢাকা হাত বেরিয়ে আছে, আবার কোথাও মৃতদেহের মুখে লাগানো অক্সিজেন মাস্ক। বর্ষা নামতেই বালি সরে জল বাড়তে শুরু করেছে। আর বালির ভিতর থেকে সেই জলেই ভেসে উঠছে দেহ। খবর পেয়েই ঘাটে ঘাটে ছুটছে পুর প্রশাসনের কর্মীরা। তারাই দেহ তুলে শেষকৃত্য করতে উদ্যোগী হচ্ছে।

প্রয়াগরাজ পুরসভার জোনাল অফিসার নীরজ কুমার সিং জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টায় ৪০টি দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছে। সব নিয়ম মেনে দেহের শেষকৃত্য করা হচ্ছে। প্রয়াগরাজের মেয়র অভিলাষা গুপ্তা নন্দী জানিয়েছেন, এ রাজ্যে মৃতদেহ সমাধিস্থ করার বহু পুরনো রীতি আছে। নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় এ ভাবে দেহগুলি বেরিয়ে আসছে। আমরা শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করছি।

আরও পড়ুন: রিলায়্যান্সের ডিরেক্টর পদে সৌদির তেল-কুবের, বড় ঘোষণা অম্বানীর

উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা তীরবর্তী কনৌজ, কানপুর, উন্নাও, ফতেপুর, সম্বল, প্রয়াগরাজ, প্রতাপগড়, শাহজাহানপুর, হারদই, ফারুকাবাদ, বদায়ুঁ, কাসগঞ্জ, আলিগড়, হাপুর, বুলন্দশহর, মুজফফরনগর, মিরট, বিজনোর জুড়ে প্রায় ১১৪০ কিলোমিটার এলাকায় চোখে পড়েছিল এই মৃতদেহের ছবি। স্থানীয়দের বেশির ভাগের মতে, করোনা আক্রান্তদের সৎকারের জায়গা নেই বলে এ ভাবে ভাসিয়ে দিচ্ছেন আত্মীয়রা। আবার অনেকে বলেছেন, নদীতে দেহ ভাসিয়ে দেহ ভাসিয়ে দেওয়ার প্রথা প্রচলিত আছে অনেক জায়গায়। কিন্তু এত বেশি মৃতদেহ একসঙ্গে কেন? তার সদুত্তর নেই প্রশাসনের কাছেও। স্থানীয়দের আরও দাবি, এগুলো এই সব মৃতের কোনও হিসেব নেই প্রশাসনের কাছে। এরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা, সেটাও হয়ত জানেন না কেউ।