‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হতে পারে’, কেন্দ্রের ডিজিটাল নীতি পরিবর্তনে আলোচনার প্রস্তাব টুইটারের

কেন্দ্রের নয়া নীতি প্রসঙ্গে টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, তারা কর্মচারীদের সুরক্ষা ও ব্যবহারকারীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ নিয়ে তারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।

'মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হতে পারে', কেন্দ্রের ডিজিটাল নীতি পরিবর্তনে আলোচনার প্রস্তাব টুইটারের
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 27, 2021 | 1:53 PM

নয়া দিল্লি: অবশেষে নিস্তব্ধতা ভাঙল টুইটার (Twitter)। ডিজিটাল মাধ্যম নিয়ে কেন্দ্রের নয়া নীতি ও কংগ্রেসের টুলকিট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বিতর্কের মাঝেই এ দিন টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, “কেন্দ্রের নীতিতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ হতে পারে এবং তা পুলিশের ভীতি প্রদর্শনের সম্ভাব্য নতুন পদ্ধতি হতে উঠতে পারে।” কেন্দ্রের আইন মেনে চলার কথা বলা হলেও এই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা কয়েকটি নিয়মে পরিবর্তন আনা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে চায় বলে জানিয়েছে।

কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ও ফেসবুক (Facebook)। কেন্দ্রের নীতির বিরোধিতা করে গতকালই দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে হোয়াটসঅ্যাপ। এরপরই অবশেষে মুখ খুলল মাইক্রো ব্লগিং সংস্থা টুইটার। এ দিন সংস্থার মুখপাত্র বলেন, “ভারতে টুইটার ব্যবহারীদের পরিষেবা দিতে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্যানডেমিকের সময়ে আমাদের পরিষেবা সাধারণ মানুষের মধ্যে কথোপকথন ও সাহায্য জোগাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের পরিষেবা চালু রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারের আইন মেনে চলার সর্বসাধ্য প্রচেষ্টা করা হবে। কিন্তু গোটা বিশ্বজুড়ে আমরা যে তথ্যের স্বচ্ছতা, সকলের কণ্ঠস্বরকে তুলে ধরার কাজ করি, তা আইন অনুযায়ী গোপনীয়তা রক্ষা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা মেনেই পরিচালিত করা হবে।”

কেন্দ্রের নয়া নীতি প্রসঙ্গে টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, তারা কর্মচারীদের সুরক্ষা ও ব্যবহারকারীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ নিয়ে তারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। মুক্ত ও সর্বসাধারণের মধ্যে আলাপচারিতা বা কথোপকথনের জন্য তারা কেন্দ্রের কয়েকটি নীতিতে পরিবর্তন আনতে আগ্রহী বলেও জানায়।

বুধবার থেকে কার্যকরী কেন্দ্রের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইনে কোনও তথ্য বা মেসেজের প্রথম প্রেরককে চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে বিতর্কিত পোস্ট ডিলিট করার কথা বলা হয়েছে। যে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম এই নিয়ম মানতে ব্যার্থ হবে, তাদেরও আইনী সুরক্ষা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

কেন্দ্রের এই নীতি নিয়ে আলোচনা করতে চায় বলে আগেই জানিয়েছে ফেসবুক, এ বার একই সুর টুইটারের মুখেও।

আরও পড়ুন: ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ অ্যান্টিবডি ককটেল, ট্রায়ালের আবেদন জাইডাস ক্যাডিলার