থানে: কয়েকদিন আগেই উদ্ধব ঠাকরের (Uddahav Thackeray) হাতছাড়া হয়েছে মহারাষ্ট্রের গদি। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে একের পর শিবসেনা বিধায়ক উদ্ধবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে গুয়াহাটির র্যাডিসন ব্লু হোটেলে (Radison Blue Hotel) ঘাঁটি গেড়েছিল। একের পর এক টানটান নাটকের পর সবাইকে অবাক করে বিজেপির সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। মহারাষ্ট্র সরকার হাতছাড়া হওয়ার পর উদ্ধব শিবিরের হাতছাড়া হল একটি পুরসভা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, থানে পুরসভার ৬৬ জন শিবসেনা কাউন্সিলর একনাথ শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। থানে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের গড় বলে পরিচিত। শিন্ডে থানে থেকেই বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে শিন্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ৬৬ জন বিদ্রোহী কাউন্সিলর। ৬৭ জনের মধ্যে ৬৬ জন কাউন্সিলর শিন্ডে শিবিরে যোগ দেওয়ার পর সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে উদ্ধব শিবির। বৃহন্মুম্বই পুরসভার পর থানে পুরসভা সে রাজ্যের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পুর-প্রতিষ্ঠান।
২৯ জুন কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা জোটের মহা বিকাশ আগাড়ির সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন শিবসেনা সভাপতি উদ্ধব ঠাকরে। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে ৪০ জন বিদ্রোহী সেনা বিধায়করা অসমের বিলাসবহুল হোটেলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। উদ্ধবের পদত্যাগের পরই ৩০ জন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। আশ্চর্যজনকভাবে রাজ্যের দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে বাধ্য করেছিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকট এখনও শেষ হয়নি। শিবসেনার কর্তৃত্ব নিয়ে উদ্ধব ও শিন্ডের শিবিরের মধ্যে টানাপোড়েন এখনও বাকি রয়েছে, কারণ দু’পক্ষ নিজেদের আসল ‘শিবসেনা’ বলে দাবি করে আসছেন। বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ক গুলাবরাও পাতিল দাবি করেছিলেন, শিবসেনার ১৮ জন সাংসদের মধ্যে ১২ জনই শিন্ডে শিবিরে যোগ দেবেন। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আগামী দিনে কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।