মুম্বই: সরকারের গদি টানাটানি শেষ। এবার লড়াই শুরু দল নিয়ে। শিবসেনার উপরে কার অধিকার থাকবে, তা নিয়েই লড়াই শুরু হল এবার। শিবসেনার নাম, প্রতীক নিয়ে অধিকারের লড়াই শুরু হল মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের। চলতি সপ্তাহেই নির্বাচন কমিশনের কাছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে আবেদন জানান, শিবসেনার প্রতীক তীর-ধনুকের উপরে তাদেরই অধিকার রয়েছে। এরপরই নির্বাচন কমিশনের তরফে উদ্ধব ঠাকরেকে সপ্তাহের শেষভাগের মধ্যে এর জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশ দেওয়ার পরই শুক্রবার মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানান, একনাথ শিন্ডের শিবির শিবসেনার প্রতীকের উপরে নিজেদের অধিকার জাহির করতে পারেন না, কারণ তারা স্বেচ্ছায় দলত্যাগ করেছিলেনষ
জুনে মহারাষ্ট্রের গদি বদল হয়। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনার ৪০ জন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে একনাথ শিন্ডের শিবির সংখ্য়াগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেন। দলীয় কোন্দল চলাকালীন আগেভাগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে, তার জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন একনাথ শিন্ডে। এরপরই টানাপোড়েন শুরু হয় শিবসেনার নাম ও প্রতীক নিয়ে।
আসন্ন উপনির্বাচনে আন্ধেরি পূর্ব থেকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য সম্প্রতিই একনাথ শিন্ডের শিবির নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় এবং শিবসেনার নাম ও প্রতীকের উপরে নিজেদের অধিকার জানায়। এরপরই নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।
শুক্রবার উদ্ধব ঠাকরে জানান, শিন্ডে শিবিরের বিধায়কদের শিবসেনার অংশ হিসাবে গণ্য করা উচিত নয়, কারণ তাদের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। একনাথ শিন্ডে ও তার সমর্থকরা স্বেচ্ছায় দলত্যাগ করায়, তারা আর শিবসেনার অংশ নন।
বর্তমানে দুই শিবিরই নিজেদের স্বপক্ষে সমর্থন জোগাড়ে ব্যস্ত। শিবসেনাকে নিজের অধীনে রাখতে দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে ৫ লক্ষ সমর্থন জোগাড়ে ব্যস্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। অন্যদিকে, বর্তমান মুখ্য়মন্ত্রী একনাথ শিন্ডেও দাবি করেছেন যে বাল ঠাকরের আসল হিন্দুত্বের ঐতিহ্য বহন করে চলেছেন তিনি ও তাঁর সমর্থকরা। উদ্ধব ঠাকরে দীর্ঘ সময় আগেই তাঁর বাবার দেখানো পথ থেকে সরে এসেছিলেন কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে জোট বেঁধে।
শিন্ডে শিবিরের কাছে দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়কদের সমর্থন থাকলেও নির্বাচন কমিশন দলীয় কর্মীদের সমর্থন কার দিকে, তাও জানতে চেয়েছে। সেই কারণেই দুই শিবির দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে সমর্থনের হলফনামা জোগাড়ে ব্যস্ত।