মুম্বই: মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা অথবা নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর মুম্বই জ়োনাল ইউনিট এক উগান্ডার মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। এনসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার দেহ থেকে নিষিদ্ধ মাদক কোকেন, হেরোইন এবং মাদকজাত ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এনসিবি কর্তাদের দাবি, ওই মহিলা দেহের মধ্যে ওই নিষিদ্ধ মাদকগুলি লুকিয়ে পাচার করছিল। এনসিবি সূত্রে খবর, ওই উগান্ডা নিবাসী ওই মহিলার দেহ থেকে ৬৪ টি ক্যাপসুল উদ্ধার করা হয়েছে, ওই ক্যাপসুল গুলিতে সব মিলিয়ে ৫৩৫ গ্রাম হেরোইন ছিল। এনসিবি জানিয়েছে, ১৭৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, সব মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া মাদকের মোট বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকা।
জানা গিয়েছে, বিশেষ সূত্র মারফত এনসিবির কাছে ওই মহিলা সম্পর্কে খবর এসেছিল। ২৮ মে ওই মহিলা উগান্ডা থেকে মুম্বই এসেছিলেন। কিন্তু বিমানবন্দরে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগপত্রে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। কিন্তু তা সত্ত্বে এনসিবি আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। আরও কাছ থেকে পর্যবেক্ষণের পর এনসিবি গোয়েন্দারা ওই মহিলার দেহ থেকে মাদক উদ্ধার করে। এক এনসিবি আধিকারিক জানিয়েছেন, “জেরার মুখে ওই মহিলা স্বীকার করেছেন এই বিশেষ ধরনের একটি টেপ দিয়ে তার দেহের ভিতরে ওই মাদকগুলি লুকোনো অবস্থায় ছিল। জেরার সময়ই ১০ টি ক্যাপসুল উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে তাঁর পেট থেকে বাকি মাদক বের করেন চিকিৎসকরা।”
এই ভাবে লুকিয়ে মাদক পাচার এখন রোজকার ঘঠনা হয়ে গিয়েছে। এনসিবি আধিকারিকদের মতে, সাধারণ আফ্রিকান দেশগুলির আর্থিকভাবে দুর্বল মহিলাদের অনেক টাকা প্রলোভন দিয়ে এই জাতীয় মাদক পাচার করানো হয়। এনসিবি বা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া একাধিক মহিলাই জানিয়েছেন, তারা জানতেনই না, যে আসলে তারা কী পাচার করেছেন। উগান্ডা নিবাসী এই মহিলাকে গ্রেফতারের পর এই পাচারচক্রের সঙ্গে যু্ক্ত বাকিদের খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে এনসিবি আধিকারিকরা।