নয়া দিল্লি: ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ দু’দিনে পড়েছে। বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্রের আক্রমণে তথৈবচ অবস্থা ইউক্রেনের। ভারত প্রথম থেকেই ইউক্রেন ইস্যুর ওপর নজর রাখছিল। আক্রমণের প্রথম দিনই রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার নমোর শরণাপন্ন হলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।শনিবার টুইট করে নিজেই এই কথা জানিয়েছেন জ়েলেনস্কি। রাষ্ট্রপুঞ্জের রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত ও চিন। ভারতেই এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছিল মস্কো। তারপরই ইউক্রেনিয়ান প্রেসিডেন্টের মোদীর কাছে থেকে রাজনৈতিক সমর্থনের আবেদন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ফোনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা বর্ণনা করেছে। এমনকি সমস্যা সমাধানের যাতে দ্রুত আলোচনায় বসা যায় সেই নিয়ে মোদীকে আবেদন জানিয়েছেন জ়েলেনস্কি। ইউক্রেনের পরিস্থিতি ও সেখানকার প্রাণহানির বিষয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জ়েলেনস্কিকে জানিয়েছন নমো।
Spoke with ?? Prime Minister @narendramodi. Informed of the course of ?? repulsing ?? aggression. More than 100,000 invaders are on our land. They insidiously fire on residential buildings. Urged ?? to give us political support in?? Security Council. Stop the aggressor together!
— Володимир Зеленський (@ZelenskyyUa) February 26, 2022
Highly appreciate India’s independent and balanced position at the voting in the UNSC on February 25, 2022.
In the spirit of the special and privileged strategic partnership Russia is committed to maintain close dialogue with India on the situation around Ukraine https://t.co/oKtElMLLRf
— Russia in India ?? (@RusEmbIndia) February 26, 2022
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইউক্রেনে রাশিয়ান আক্রমণের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবের সমর্থনে ভোটদান বিরত ছিল ভারত। ভারতের বক্তব্য ছিল রাশিয়ার আক্রমণ নিয়ে এই ভোটদানের মাধ্যমে কোনও সমস্যার সমাধান হবে না এবং শেষমেশ আলোচনার রাস্তাতেই ফিরতে হবে, তাই ভোটদানে অংশ নেওয়ার কোনও মানে হয়না, শনিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্র। রাশিয়া-ইউক্রেনে সংঘাতের ইস্যুতে প্রথম থেকে মধ্যপন্থা অবলম্বন করেছিল ভারত। ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েনের সময় থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের বার্তা দিয়েছিল। ভারত ভোটদানে অংশগ্রহণ না করলেও কোনও স্বাধীন দেশের ‘সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা’ রক্ষার বার্তা দিয়েছিল ভারত।
শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে নিজেদের ভেটো পাওয়ার ব্যবহার করে আমেরিকার আনা যাবতীয় প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিল রাশিয়া। ভারত ছাড়াও চিন ও সৌদি আরব রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান অংশ নেয়নি। রাষ্ট্রপুঞ্জকে ভারত জানিয়েছে, যাদের মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তাদের দুপক্ষের সঙ্গেই ভারতের যোগাযোগ রয়েছে এবং দুপক্ষকেই তাঁরা আলোচনার টেবিলে বসার অনুরোধ জানিয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতির সঙ্গে ফোনে ২৫ মিনিট কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুতিনকেও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আবেদন জানিয়েছিলেন মোদী। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ফোন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোদীর কথোপকথন নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র ভারতে গুরুত্ব বৃদ্ধি করল।
আরও পড়ুন Russia-Ukraine Conflict: কিয়েভ দখলে মারাত্মক কৌশল! ইউক্রেনিয়ান সেনার পোশাকে ওঁরা কারা?