নয়া দিল্লি: দেশবাসী যাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন, তার জন্যই সীমান্তে অতন্দ্র পাহারা দেন দেশের সেনাবাহিনী। কিন্তু তাদের কথা ভাবে ক’জন? এবার দেশের সেনা ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়েই সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। মঙ্গলবার সশস্ত্র বাহিনীর পতাকা দিবসে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের সমস্ত নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব হল সেনা কর্মী ও তাঁদের পরিবার কল্যাণ নিশ্চিত করা। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কথাও বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফেই ‘ফ্ল্যাগ ডে’ উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানেই প্রধান অতিথি রাজনাথ সিং সেনাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন। বলেন, “সেনাকর্মীদের সাহস ও আত্মত্যাগের মাধ্যমেই দেশের গণতন্ত্র ও সাবভৌমত্ব রক্ষা পাচ্ছে।”
নাগাল্যান্ডের কোহিমা ওয়ার মেমোরিয়ালে এক সেনাকর্মীর বার্তা উল্লেখ করে রাজনাথ সিং বলেন, “এক সেনাকর্মী লিখেছিলেন, যখন আপনারা বাড়ি যাবেন, তখন পরিবারের সদস্যদের আমাদের কথা বলবেন। ওনাদের বলবেন, আপনাদের আগামিকালের জন্য আমরা নিজেদের আজকে উৎসর্গ করেছি।”
রাজনাথ সিং বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে যুদ্ধে বিজয়ই হোক বা সীমান্তে সন্ত্রাস দমন, আমাদের সেনাবাহিনী সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে সাহসের সঙ্গে দ্রুত জবাব দিয়েছে। এই লড়াইয়ে বহু সেনা কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন বা শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে গিয়েছেন। তাদের পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব তাদের উপরই থাকে। তাই আমাদের, দেশের সাধারণ মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য হল দেশের সেনাবকর্মীদের সমর্থন জানানো ও তাদের পরিবারের পাশে যেভাবেই হোক, পাশে দাঁড়ানোর। আমাদের বীর জওয়ানদের জন্যই আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি এবং বিনা ভয়ে জীবন কাটাতে পারি।”
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, অধিকাংশ সেনাকর্মীই ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়সে অবসর নিয়ে নেন। তাই তারা অবসরের পরও যথেষ্ট কর্মঠ থাকেন। অবসরপ্রাপ্ত এই সেনাকর্মীদের দিকে যথাসম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। ইতিমধ্য়েই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ‘ভারত কি বীর’ পোর্টাল সহ একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে একা সরকারেরই দায়িত্ব নয়, সাধারণ মানুষেরও কর্তব্য সেনা জওয়ানদের উন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা। বেসরকারি ক্ষেত্রেও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া উচিত।