নয়া দিল্লি : ১৭ ও ১৮ জুন দু’দিনের গ্লোবাল সামিটের আয়োজন করা হয়েছিল টিভি৯ নেটওয়ার্কের তরফে। এই সামিটে উপস্থিত ছিলেন দেশ বিদেশের স্বনামধন্য নেতারা। ভারতের ‘বিশ্ব গুরু’ হওয়ার নীল নকশা তৈরির জন্য আয়োজন করা হয়েছিল এই সামিটের। বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে বক্তৃতা দেন। সামিটের দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি এদিন জাতীয় শিক্ষা নীতির বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে সকল মাতৃভাষাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ধর্মেন্দ্র প্রধান এদিন বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতির সংকলনের প্রক্রিয়া অনেকটা সংবিধান সংকলনের প্রক্রিয়ার মতোই। তিনি বলেন, ‘একবিংশ শতকের জন্য দার্শনিক নথিপত্র হল এই জাতীয় শিক্ষানীতি।’ তিনি জানিয়েছেন, ২৯ জুলাই জাতীয় শিক্ষানীতি দু’বছর পূর্ণ করছে। এই নীতির কিছু বিষয় ইতিমধ্যেই বলবৎ করা হয়েছে। মাতৃভাষায় শিক্ষাদান শুরু হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে কোনও ভাষাকেই কম গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এই শিক্ষানীতিতে মাতৃভাষাতে পাঠদানের কথা বলা হয়েছে। এতে কখনোই শুধু হিন্দি বা ইংরেজির উল্লেখ করা হয়নি। এখানে হিন্দি, মারাঠি, তেলুগু, তামিল, অহমিয়া সব ভাষার কথা বলা হয়েছে। আমাদের জন্য এই সব ভাষাই রাষ্ট্রীয় ভাষা। জাতীয় শিক্ষানীতিতে এই ভাষাগুলির জন্য একটি ব্যবস্থা রয়েছে।
বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ইতিহাস পাল্টানোর অভিযোগে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘আমরা ইতিহাস বদলাচ্ছি না। ইতিহাসে আরও সংযুক্ত করা হচ্ছে। ইতিহাসের পাতায় কেউ কেউ বাদ পড়ে গিয়েছিলেন। আমরা তাঁদের জুড়ছি। একে কীভাবে ইতিহাস বদলানো বলা যেতে পারে।’