নয়া দিল্লি: অক্সিজেনের অভাবে দম আটকে আসছে দেশের রাজধানীর। নিশ্বাস নিতে না পেরে বেঘোরে মারা যাচ্ছেন একের পর এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তরা। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। হাত জোড় করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে সহযোগিতার আর্তি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। এমনই এক স্পর্শকাতর সময়ে চাঞ্চল্যকর দাবি প্রকাশ্যে আনল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্র এ দিন হাইকোর্টে জানিয়েছে, পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে অর্থ মঞ্জুর করলেও পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করেনি রাজ্য সরকার।
কেন্দ্রের দাবি, “গত ডিসেম্বর মাসেই দিল্লিতে আটটি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির জন্য পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছিল। কিন্তু, কেজরীবাল সরকার এতদিনে কেবল মাত্র একটি অক্সিজেন প্লাট তৈরি করেছে।” যে কারণেই অক্সিজেনের সঙ্কট শয়ে শয়ে প্রাণ কাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই দাবি শোনার পর কেজরীবাল ও মোদী, দুই সরকারকেই তিরস্কার করে আদালত।
এই বিস্ফোরক তথ্যটি প্রকাশ্যে আসার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বিজেপি। জনস্বাস্থ্য অবহেলার অভিযোগ তুলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার দাবি তোলা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। টাকা পাওয়া সত্ত্বেও কেন বাকি সাতটি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি হল না, তা নিয়ে বাকি মহলেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। দিল্লি বিজেপি সভাপতি আদেশ গুপ্ত দাবি করেছেন, “দিল্লি সরকারের কাজ করার অনীহার জন্যই আজ রাজধানীর মানুষ এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন।”
मोदी सरकार ने दिल्ली सरकार को 8 नए Oxygen Plant के लिए फंड मुहैया कराया, पर दिल्ली सरकार ने इसपर कोई काम नहीं किया।
दिल्ली सरकार की काम न करने की नीयत आज सभी दिल्लिवासियों पर भारी पड़ रही है।
दिल्ली सरकार द्वारा इतनी बड़ी लापरवाही हुई है, क्या उनको इसकी सजा नहीं मिलनी चाहिए? pic.twitter.com/OOC0bK1dDP
— Adesh Gupta (@adeshguptabjp) April 24, 2021
আরও পড়ুন:
বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্যও দিল্লি সরকারকে একহাত নিয়েছেন। তিনি টুইটে লেখেন, “দিল্লির অক্সিজেন সঙ্কটের জন্য দায়ী কেজরীবাল। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় সরকার আটটি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির অর্থ বরাদ্দ করলেও এতদিনে কেন মাত্র একটা প্লান্ট তৈরি হল? দিল্লি হাইকোর্ট আজ জানতে চেয়েছে, দিল্লি সরকারকে এর জবাব দিতেই হবে।”
আরও পড়ুন: অক্সিজেনের ঘাটতি সামলাতে এপ্রিলের শুরুতেই বড় পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র