নয়া দিল্লি: একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করানো সম্ভব? যদি হয়, তবে কীভাবে তা সম্ভব? কেন্দ্রের “এক দেশ, এক নির্বাচনে”র (One Nation, One Election) প্রস্তাব খতিয়ে দেখবে কমিটি। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই কেন্দ্রের গঠিত এই প্যানেল এক দেশ, এক নির্বাচন প্রস্তাবের বাস্তবায়ন সম্ভব কি না, তা নিয়ে বৈঠক করবে। বুধবারই কমিটির প্রধান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের(Ramnath Kovind) সঙ্গে দেখা করেন কমিটির সদস্য তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল (Arjun Meghwal)। প্রায় ৪৫ মিনিটের এই সাক্ষাতে গোটা দেশে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করানো সম্ভব কি না, তা নিয়েই আলোচনা হয়। এমনটাই সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির অফিসের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের সাক্ষাতকে “সৌজন্য সাক্ষাৎ” বলা হয়েছে। প্রায় ৪৫ মিনিট রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে কথা বলেন অমিত শাহ। সঙ্গে ছিলেন আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়ালও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানান, কমিটি গঠন করার পরে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করা হয়নি বলেই বুধবার সৌজন্য সাক্ষাৎ সারতে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, বিশেষ সফরের কারণে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর অবধি ব্যস্ত থাকবেন রামনাথ কোবিন্দ। তারপরই “এক দেশ, এক নির্বাচন” নিয়ে প্রথম বৈঠক হতে পারে। রামনাথ কোবিন্দ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও এই কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ গুলাম নবি আজাদ, ৫তম অর্থ কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এনকে সিং, লোকসভার প্রাক্তন সচিব জেনারেল ড: সুভাষ সি কশ্যপ, বিশিষ্ট আইনজীবী হরিশ সালভে ও প্রাক্তন মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি।
এই কমিটিতে সদস্য হওয়ার জন্য কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তিনি সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন। জল্পনা শোনা যাচ্ছে, সরকারের তরফে আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর যে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে, সেখানেই “এক দেশ, এক নির্বাচন” বিলটি পেশ করা হতে পারে।