নয়াদিল্লি: গত প্রায় এক বছর ধরে বারেবারে উত্তেজনা। সংঘর্ষ। প্রাণহানি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক ব্যবস্থা কেন্দ্র ও রাজ্যের। এবার মণিপুর ইস্যুতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার নয়াদিল্লিতে আধিকারিকদের সঙ্গে এই বৈঠকে হিংসায় মদতদাতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, মেইতেই এবং কুকি, দুই সম্প্রদায়ের সঙ্গেই খুব শীঘ্র বৈঠক করবেন।
এর আগে মণিপুর ইস্যুকে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে লোকসভা ভোট মিটতেই বার্তা দিয়েছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। মণিপুরে নতুন করে হিংসার ঘটনাও সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে এদিন মণিপুর ইস্যুতে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে পদস্থ নিরাপত্তা আধিকারিকদের কাছ থেকে মণিপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার খুঁটিনাটি জানতে চান অমিত শাহ। সেরাজ্যে আর যাতে কোনও হিংসার ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে বলেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রয়োজনে মণিপুরে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। মণিপুরে শান্তি বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে সুনির্দিষ্ট কৌশল গ্রহণ করতে হবে।
অমিত শাহ জানান, যত দ্রুত সম্ভব দুই সম্প্রদায়ের সঙ্গেই বৈঠক করবে তাঁর মন্ত্রক। বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, মণিপুরের সমস্ত নাগরিকের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার বদ্ধপরিকর। শরণার্থী শিবিরের অবস্থা নিয়েও বৈঠকে জানতে চান অমিত শাহ। ওইসব শিবিরে খাদ্য, পানীয় জল, ওষুধ যাতে পর্যাপ্ত পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করতে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর তপন ডেকা, সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে, পরবর্তী সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী-সহ অন্য পদস্থ আধিকারিকরা।