Amit Shah: ‘ইংরেজির বিরোধী নই তবে….’, শিশুদের মাতৃভাষা ও হিন্দি শেখার পরামর্শ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
Mother Language: অমিত শাহ বলেন, "আমি বিশ্বাস করি যে শিশুদের ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি ফরাসি, জার্মান ভাষাও শেখা উচিত। কিন্তু একজন গুজরাটের শিশুর গুজরাটি ও হিন্দিও জানা দরকার। অসমের শিশুদের অহমিয়া ও হিন্দি শেখা উচিত। তামিলনাড়ুর পড়ুয়াদের তামিল ও হিন্দি শেখা উচিত।"
নয়া দিল্লি: বিদেশি ভাষা শেখার পাশাপাশি পড়ুয়াদের মাতৃভাষা শেখার পক্ষে জোর সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি জানান, ইংরেজি ভাষার বিরোধিতা করেন না। তবে তাঁর মতে, ভারতীয় শিশুদের নিজস্ব মাতৃভাষা (Mother Language) ও হিন্দি (Hindi) শেখা উচিত। দেশের প্রাচীন যে ভাষাগুলি রয়েছে, সেগুলি সংরক্ষণেরও ডাক দেন তিনি।
রবিবার ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টিচার এডুকেশনের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তিনি শিক্ষা ও ভাষা সংরক্ষণ নিয়ে কথা বলেন। যে সমস্ত পড়ুয়ারা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক হচ্ছেন, তাদের উদ্দেশে বলেন, “সংস্কৃত ভাষায় এবং বেদ ও উপনিষদে যে জ্ঞানের ভাণ্ডার উচিত, তা জানা উচিত এবং পরবর্তী সময়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে সেই জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া উচিত।”
ভাষাগত দক্ষতার বিষয়ে তিনি জানান, ইংরেজি ভাষার বিরোধিতা না করলেও, ভারত এমন একটি দেশ যা কোনও ধরনের জ্ঞান আহরণের বিরোধিতা করে না। পড়ুয়াদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “সমস্ত ভারতীয় ভাষা সংরক্ষণ ও তা উন্নত করার দায়িত্ব আপনাদের কারণ এই ভাষাগুলিতে আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস, সাহিত্য ও ব্যাকরণ লুকিয়ে রয়েছে। আমাদের নিজেদের ভাষাকে শক্তিশালী করতে হবে। ২০২০ সালে আনা জাতীয় শিক্ষা নীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ দিকই ছিল পড়ুয়াদের মাতৃভাষায় শিক্ষা দেওয়া।”
তিনি আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে শিশুদের ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি ফরাসি, জার্মান ভাষাও শেখা উচিত। কিন্তু একজন গুজরাটের শিশুর গুজরাটি ও হিন্দিও জানা দরকার। অসমের শিশুদের অহমিয়া ও হিন্দি শেখা উচিত। তামিলনাড়ুর পড়ুয়াদের তামিল ও হিন্দি শেখা উচিত। যদি এটা সম্ভব হয়, তবে আমাদের দেশকে উন্নত হওয়ার থেকে কেউ আটকাতে পারবে না।”
সংস্কৃত ভাষার গুরুত্বও বুঝিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের এখানে সংস্কৃতও পড়ানো হয়…আমি অনুরোধ করব, আপনাদের সংস্কৃত ভাষা নিয়ে যে সাধারণ জ্ঞান-ধারণা রয়েছে, তা আরও উন্নত করুন। যদি বিশ্বের কোথাও জ্ঞানের ভাণ্ডার থাকে, তা হল আমাদের উপনিষদ, বেদ ও সংস্কৃত ভাষায়। একবার এগুলি পড়লে আজীবন তা মনে রাখতে কোনও সমস্যা হবে না আপনাদের। বেদ আমাদের শেখায় যেখান থেকে সম্ভব, জ্ঞান আহরণ করা। সব কিছু থেকে ভাল বুদ্ধি সংগ্রহ করা। জ্ঞানের উৎস না দেখে আমাদের দেখা উচিত, সেই জ্ঞান আমাদের সমাজ, মানুষ ও বিশ্বের জন্য় কতটা মঙ্গলদায়ক হতে পারে।”