নয়া দিল্লি: কালো টাকার কারবার রুখতে বিদেশ থেকে কোন অ্যাকাউন্টে কত টাকা আসছে, তার উপরে কড়া নজর রাখে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এবার বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে নিয়ম কিছুটা শিথিল করল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, “ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্ট”-এ প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হয়েছে। এর জেরে বিদেশে বসবাসকারীরা প্রয়োজন মতো দেশে বসবাসকারী আত্মীয়দের বছরে ১০ লক্ষ টাকা অবধি পাঠানো যাবে। এই লেনদেনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও জানাতে হবে না। আগে বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থের ঊর্ধ্বসীমা ছিল ১ লক্ষ টাকা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এবার থেকে বিদেশে বসবাসকারীরা দেশে বসবাসকারী তাদের আত্মীয়দের বছরে ১০ লক্ষ টাকা অবধি পাঠাতে পারবেন। যদি কেউ এর বেশি অর্থ পাঠান, তবে প্রশাসনকে ৯০ দিনের মধ্যে জানাতে হবে। আগে এই সময়সীমাই ছিল ৩০ দিন। অর্থাৎ নির্ধারিত অঙ্কের বেশি অর্থ পাঠালে ৩০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রকে সেই অর্থের উৎস, কী কারণে টাকা পাঠানো হয়েছে, তা জানাতে হয়।
অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অপর একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্ট-র অধীনে পাঁচটি অপরাধের ক্ষেত্রে সরাসরি বিচারের পরিবর্তে তার যথার্থতা যাচাই করা হবে আগে। এর আগে মোট সাতটি অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযোগ ও অপরাধ কতটা স্বীকার্য, তা যাচাই করা হত।
শুক্রবার রাতে কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “২০১১ সালের ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) আইনের অধীনে বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থের পরিমাণ বছরে ১ লক্ষ টাকার বদলে ১০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রের স্থির করা অর্থের পরিমাণের বেশি টাকা পাঠালে তা ৩০ দিনের পরিবর্তে ৩ মাসের মধ্যে বিবৃতি দিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে।”
ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) আইনের ৯ নম্বর ধারার অধীনে কোনও বেসরকারি সংস্থা বা অলাভজনক সংস্থার তহবিলে বিদেশ থেকে অনুদান আসে, তবে তাদের ৪৫ দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানাতে হবে। আগে এই তথ্য জানানোর সময়সীমাও ৩০ দিন ছিল।