জয়পুর: ডিজিটাল মিডিয়াকে একটি নিয়মের আওতায় আনতে আনা হচ্ছে বিল। এই মর্মে কেন্দ্র কাজও শুরু করে দিয়েছে। এদিন জানালেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী (Union Information and Broadcasting Minister) অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সেই অনুষ্ঠান থেকেই তিনি ডিজিটাল মিডিয়ার জন্য আইন প্রণয়নের কথা বলেন তিনি।
তিনি এদিন বলেন, “এর আগে সংবাদের একমুখী জ্ঞাপনই হত। তবে বৈদ্যুতিন মাধ্যম, ডিজিটাল মিডিয়ার প্রবেশে সংবাদ ক্ষেত্রে এসেছে আমূল পরিবর্তন।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, “আগে সংবাদ পরিবেশন একমুখী হলেও এখন তা বহুমুখী হয়ে গিয়েছে।” একটি বিবৃতি প্রকাশ করে অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার বেশিরভাগ প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও ডিজিটাল মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ তাদের উপরই ছেড়ে দিয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘ডিজিটাল মিডিয়ায় সুযোগের পাশাপাশি অনেক প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে একটি ভারসাম্য বজায় রাখতে কী করা যেতে পারে সেই বিষয়ে ভেবে দেখবে সরকার।’
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, “আমার মনে হয়, আইনে পরিবর্তন আনা দরকার। আর আপনাদের কাজ সহজ করতেই আমরা এই আইন নিয়ে আসব। একটি বিল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি আমরা।’ তিনি এদিন আরও বলেন, নতুন আইনের অধীনে, কোনও সংবাদপত্রের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আরও সহজতর হবে। ১৮৬৭ সালের প্রেস অ্যান্ড বুকস অ্যাক্ট প্রতিস্থাপন করে কেন্দীয় সরকার অন্য় একটি আইন নিয়ে আসবে। এই নয়া আইনের অধীনে কোনও বই ও সংবাদপত্রের রেজিস্ট্রেশন অনলাইনেই করা যাবে। আর তা সম্পন্ন হবে এক সপ্তাহের মধ্যে। আগে এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার জন্য সময় লাগত প্রায় চার মাস।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, “সংবাদপত্রের উচিত সঠিক সময়ে, সঠিক খবর সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা। সরকারের ত্রুটি বিচ্যুতির পাশাপাশি বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প ও নীতি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।” এ দিন তিনি দায়িত্ব সহকারে নিজেদের কাজ করার এবং কোনওরকম ভয় ও ভীতির পরিবেশন সৃষ্টি থেকে সংবাদ মাধ্যমকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছেন মন্ত্রী। প্রসঙ্গত, এই বছরের মাঝামাঝিই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ডিজিটাল