নয়া দিল্লি : বুধবার মেগা পরিচ্ছনতা অভিযানের (Mega Cleanliness Drive) উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এদিন দিল্লির চাঁদনি চকের টাউন হলে সকাল সাড়ে ৬ টায় স্বচ্ছ ভারত ২০২২ অভিযানের অধীনে এই কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে। এই অভিযানের লক্ষ্য হল স্বচ্ছ ভারত ২০২২-র একাধিক প্রচেষ্টাকে একীভূত করা। দেশের বিপুল সংখ্যক জনগণ যাতে স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অংশগ্রহণ করেন তা নিশ্চিত করার জন্য়ই এই মেগা অভিযানের আয়োজন করা হয়েছে। বর্তমানে স্বচ্ছ ভারত অভিযান ২০২২-র তত্ত্বাবধানে রয়েছে কেন্দ্রীয় যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রক।
এই কর্মসূচি আয়োজনে নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠন (এনওয়াইকেএস) এবং জাতীয় পরিষেবা প্রকল্পের (এনএসএস) লক্ষাধিক ছাত্রদের সমর্থন রয়েছে। এদিকে দেশজুড়ে একমাসব্যপী স্বচ্ছ ভারত ২০২২ অভিযানের সূচনা করা হয়েছিল ১ অক্টোবর। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ থেকে এই কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল এক মাসের মধ্যে ১ কোটি কিলোগ্রাম বর্জ্য সংগ্রহ করা। এদিন মেগা কর্মসূচির সূচনা করার পর অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, গত ১৮ দিনে মোট ৮৪ লক্ষ কিলোগ্রাম বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর দেশজুড়ে স্বচ্ছতা অভিযানের (Swachh Bharat Abhiyan) সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহাত্মা গান্ধীর ১৪৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই অভিযানের সূচনা করা হয়েছিল। নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠন (Nehru Yuva Kendra Sangathan) মিশনটি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। NYKS ১৯৭২ সালে যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রকের অধীনে একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দেশ গঠনের প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ায় গ্রামীণ যুবকদের সুযোগ দেওয়াই এই সংস্থার উদ্দেশ্য। স্বচ্ছ ভারত মিশনে অংশ নেওয়া এর মধ্যে একটি সুযোগ। NYKS দেশের ৬২৩টি জেলা জুড়ে ৩.০১ লক্ষ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় ৮৫ লক্ষ যুবককে নথিভুক্তকরণ করেছে। এই স্বচ্ছতা অভিযানের মূল ফোকাস পয়েন্ট হল গ্রাম এবং গ্রামের স্টেকহোল্ডাররা। তাদের মধ্যে রয়েছে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (BDO), পঞ্চায়েত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (PEEO) ইত্যাদি। যদিও অন্যান্য গোষ্ঠী যেমন ধর্মীয় সংস্থা, শিক্ষক, কর্পোরেট সংস্থা,মহিলা গোষ্ঠীগুলি এবং অন্যান্যরাও অংশগ্রহণ করেছে। এই অভিযানে ব্যাপক অংশগ্রহণ অভিযানকে সঠিকভাবে একটি জন আন্দোলনে পরিণত করেছে।