সিমলা: বিরোধীদের হই-হট্টগোলেই ব্যহত হয়েছে সংসদের যাবতীয় কার্যাবলি। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা কোনও বিল নিয়েই আলোচনা করতে পারেনি সরকার। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। “জন আশীর্বাদ যাত্রা” (Jan Ashirwad Yatra) থেকেও তাই বিরোধীদের এক হাত নিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। বৃহস্পতিবার তিনি হিমাচল প্রদেশে জন আশীর্বাদ যাত্রার সূচনা করে বলেন, “বিরোধীরা কৃষি আইন, করোনা মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা চেয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় ডাকতেই তাঁরা উধাও হয়ে যান।”
সোলান থেকেই হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) পাঁচদিনের জন আশীর্বাদ যাত্রার সূচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সেখানে তিনি বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “বিরোধী দলগুলির একমাত্র উদ্দেশ্য হল সব জায়গায় অরাজকতা সৃষ্টি করা। সাধারণ মানুষের উন্নয়নের দিকে যেমন তাদের নজর নেই, তেমনই করদাতাদের অর্থের মূল্যও তারা বোঝেন না। সাংবিধানিক মূল্যবোধ নিয়ে তারা কখনওই চিন্তিত ছিলেন না।”
সম্প্রতিই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী “সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস”-র সঙ্গে “সবকা প্রয়াস” শব্দটি জুড়ে দিয়েছেন। অনুরাগ ঠাকুর জানান, এর মাধ্যমে নিজের রাজ্য় তথা দেশের উন্নয়নে সকলেই অংশ নিয়ে পারবেন। সকলকে একসঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার জন্যই এই বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। হিমাচল প্রদেশের মানুষও যেন এই সুযোগ হাতছাড়া না করেন, তার অনুরোধ জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
দেশের টিকাকরণ কর্মসূচিতে হিমাচল প্রদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “রাজ্যে করোনা টিকাকরণে দারুণ কাজ হয়েছে। এর সমস্ত কৃতিত্বই স্বাস্থ্যকর্মীদের, কারণ তাদের কঠোর পরিশ্রমের ফলেই এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো গিয়েছে।”
জন আশির্বাদ যাত্রার লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জনকল্যাণে যে নতুন নতুন নীতিগুলি এনেছেন, তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই প্রধান লক্ষ্য। এছাড়াও সাধারণ মানুষের আশীর্বাদ নিতেই এই যাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।”
গত ১৬ অগস্ট থেকে বিজেপির তরফে “জন আশীর্বাদ যাত্রা” নামে নয়া জনসংযোগ কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নতুন যে ৩৯ জন মন্ত্রীকে জায়গা দেওয়া হয়েছে, তারা সকলেই ২২টি রাজ্য জুড়ে হওয়া এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। নতুন মন্ত্রীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং তাদের বাড়িতে গিয়ে সমস্যার কথা জানার উদ্দেশ্যেই এই কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক মন্ত্রী ৪-৫টি জেলার কমপক্ষে ৩ থেকে ৪টি লোকসভা আসন পরিদর্শন করবেন বলে জানানো হয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। মন্দির থেকে সমাজকর্মী, সাহিত্যিকদের বাড়ি, সমস্ত জায়গায় যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জোত্যিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সর্বানন্দ সোনওয়াল, পশুপতি পরস, ভূপেন্দ্র যাদব, মীনাক্ষী লেখি, অশ্বীনী বৈষ্ণব সহ একাধিক মন্ত্রী এই জন আশীর্বাদ যাত্রায় অংশ নিচ্ছেন। আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরেই মিলবে কি শিশুদের আরও একটি টিকা? ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আবেদন জনসনেরও