নয়াদিল্লি: মোদীশাসনের অবসান ঘটাতে নতুন জোট গড়েছে দেশের প্রথম সারির বিরোধী দলগুলির নেতারা। মঙ্গলবার সেই জোট নামকরণ নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে বিস্তর। জোটের নাম ইন্ডিয়া (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়ান্স) হওয়া নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। এই আবগেই মহারাষ্ট্রের সমাজবাদী পার্টির এক বিধায়ক রাষ্ট্রগান নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে দেশপ্রেমের বিষয় ফের সামনে এসেছে। ওই বিধায়কের মন্তব্যের ভিডিয়ো রিটুইট করে দেশের বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সেই টুইটে বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, “নয়া নাম, পুরানা কাম।” অর্থাৎ নতুন নামকরণ হলেও কাজ পুরনোই রয়ে গিয়েছে।
মহারাষ্ট্রের সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক আবু আজমি। সে রাজ্যের একটি বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি সমালোচনা করছিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের। গুলি চালনার ঘটনায় তদন্তের আগেই কী ভাবে এক জন মন্ত্রী তাঁর নিদান দেন সে প্রশ্ন তোলেন। এর পর বন্দেমাতরম নিয়ে তাঁর করা মন্তব্যে ছড়িয়েছে বিতর্ক। সমাজবাদী পার্টির ওই বিধায়ক বলছেন, “বিধানসভায় যখন বন্দেমাতরম হয়, তখন আমি উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান করি। কিন্তু আমি এটা পড়তে পারি না। কারণ আমার ধর্মে আল্লাহ ছাড়া কারণও সামনে মাথা নোয়াবো না। সুপ্রিম কোর্ট আমাকে অধিকার দিয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে আমরা রাজনীতি করছে। যারা আইন ভাঙছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
আবু আজমির এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিরোধী জোটের নেতাদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। টুইটে তিনি লিখেছেন, “নতুন নাম, পুরনো কাজ। কেবলই একটা নামের পরিবর্তন। অবিন্যস্ত জোটকে ভারতের সঙ্গে, ভারতীয়দের হয়ে কাজ করতে হবে। এই অনুভূতি নিয়ে কী ভাবে করবে এরা? এদের অ্যাটিটিউডে বদল প্রয়োজন। রাষ্ট্রগানের বিষয়ে যাঁদের এই ভক্তি, দেশের প্রতি তাহলে অবস্থাটা কেমন?” এই টুইটেই রাহুল গান্ধী, নীতীশ কুমার, অখিলেশ সিং ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে রাষ্ট্রগান সম্পর্কে তাঁদের মতামত জানতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।