নয়া দিল্লি: সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায়, অর্থাৎ, প্রবেশিকা পরীক্ষা বা নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসকে কেন্দ্র করে বহু পরীক্ষা বাতিল করতে হয়েছে। এই ক্রমবর্ধমান প্রবণতার মোকাবিলায় এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিল আনা হল লোকসভায়। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) লোকসভায় পেশ করা হল পাবলিক এক্সামিনেশন (প্রিভেনশন অব আনফেয়ার মিনস) বিল, ২০২৪। এই বিলের লক্ষ্য হল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অসৎ আচরণ প্রতিরোধ করা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এই বিল উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবিত বিলে, সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে, পরীক্ষার্থীদের চিন্তার কারণ নেই। এই বিলের লক্ষ্য তাদের ধরা নয়। বিলটির মূল লক্ষ্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে যে সকল সংগঠিত গ্যাং এবং মাফিয়ারা এই অবৈধ কাজকারবার চালাচ্ছে, তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা।
বিলে কম্পিউটারাইজড পরীক্ষা প্রক্রিয়ার সুরক্ষা ব্যবস্থা বৃদ্ধির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি জাতীয় কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত নির্ভুল আইটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি এবং পরিকাঠামো স্থাপনের জন্য, একটি জাতীয় মান নির্ধারণ করবে এই কমিটি। বিলে আরও বলা হয়েছে, প্রশ্নপত্রের সমাধান করা, ভুয়ো পরীক্ষার্থী, প্রশ্ন ফাঁসের মতো অপরাধের পিছনে, সংগঠিত গ্যাং এবং মাফিয়ারা রয়েছে। বিলটির লক্ষ্য, এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবন্ধক হিসাবে কাজ করা। পরীক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখা।
প্রসঙ্গত, বাজেট অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছিলেন, পরীক্ষায় অনিয়ম সম্পর্কে যুব সমাজের উদ্বেগ সম্পর্কে সরকার সচেতন। ছাত্রদের উদ্বেগ দূর করতেই, এই বিল আনল মোদী সরকার। বিলে বলা হয়েছে, এই বিলের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল পরীক্ষা ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা আনা। যাতে যুব সমাজে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পদ্ধতির প্রতি আস্থা তৈরি হয়। পরীক্ষা দিয়ে প্রতারিত হতে হবে না যুবদের। তাদের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি পাবে। তাদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত হবে।