নয়া দিল্লি: ভিন্ন দুই রাজনৈতিক দলের নেতা হলেও, কাজের স্বীকৃতি দিতে কোনও সমস্যাই নেই। এমনই সৌজন্যের প্রমাণ দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকরী। কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। দেশের আর্থিক সংস্কারের জন্য গোটা দেশ তাঁর কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে, এমনটাই বললেন বিজেপি সরকারের সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী।
মঙ্গলবার ট্যাক্স ইন্ডিয়া অনলাইন নামক একটি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকরী। সেখানেই তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রশংসা করেন নব্বইয়ের দশকে আর্থিক সংস্কার আনার জন্য। তিনি বলেন, “গরিব মানুষ যাতে সুবিধা পান, এই উদ্দেশ্যেই ভারতের একটি উদার অর্থনৈতিক নীতির প্রয়োজন। এই আর্থিক সংস্কারের শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সালে, তৎকালীন অর্থমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংয়ের হাত ধরে। উদার অর্থনীতির সূচনা করে তিনি ভারতকে একটি নতুন পথের সন্ধান দিয়েছিলেন।”
বিরোধী দলের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “উদার অর্থনীতির কারণে দেশ নতুন দিশা পেয়েছে, আর এর জন্য দেশ মনমোহন সিংয়ের কাছে ঋণী”। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী যে আর্থিক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তার কারণেই মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী থাকাকালীন তিনি রাস্তা তৈরি করার জন্য টাকা তুলতে পেরেছিলেন বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকরী।
তিনি আরও জানান, উদার অর্থনৈতিক নীতি কৃষক ও গরিব মানুষদের জন্য়। চিনের নীতির প্রসঙ্গ টেনেও তিনি বলেন, “যেকোনও দেশের উন্নয়নে উদার অর্থনৈতিক নীতি কতটা সাহায্য করতে পারে, তার অন্য়তম ভাল উদাহরণ হল চিন। ভারতেও আর্থিক বৃদ্ধির গতি বাড়াতে আরও ক্যাপেক্স বিনিয়োগের প্রয়োজন।”
The amount of work done in building roads in 8 years wasn’t done in the last 65 years. I think that before 2024 ends India’s road infrastructure will be equal to that of America’s road infrastructure. We’ll be successful in it: Union minister Nitin Gadkari pic.twitter.com/i6oCEW9qHO
— ANI (@ANI) November 8, 2022
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক সাধারণ মানুষের জন্য হাইওয়ে গড়ার কাজ করছে, এরজন্য টাকাও তোলা হচ্ছে। বর্তমানে মোট ২৬টি গ্রিন এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা হচ্ছে, এরজন্য পর্যাপ্ত অর্থও রয়েছে। বর্তমানে বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকা আয় হয় টোল সংগ্রহের মাধ্যমে, ২০২৪ সালের শেষভাগের মধ্যে এই অঙ্ক ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকায় বেড়ে দাঁড়াবে।”