Israeli anti-drone systems: অযোধ্যার রাম মন্দির পাহারা দেবে ইজরায়েলের অত্যাধুনিক অস্ত্র

Jan 29, 2024 | 5:49 PM

Israeli anti-drone systems in Ram Temple: শুধু রাম মন্দির নয়, উত্তর প্রদেশের অন্যান্য প্রধান পর্যটনস্থল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলিতে পাহারা দেবে ইজরায়েলের তৈরি এই অ্যান্টিৃড্রোন ব্যবস্থাগুলি। সোমবার (২৯ জানুয়ারি), এমনটাই জানিয়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশের এক সূত্র। ওই সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই ইজরায়েলি পক্ষের সঙ্গে ড্রোনরোধী ব্যবস্থাগুলির ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে পুলিশ।

Israeli anti-drone systems: অযোধ্যার রাম মন্দির পাহারা দেবে ইজরায়েলের অত্যাধুনিক অস্ত্র
রাম জন্মভূমি মন্দিরে পাহারা দেবে ইজরায়েলের তৈরি অ্যান্টি-ড্রোন ব্যবস্থা
Image Credit source: PTI and Twitter

Follow Us

অযোধ্যা: শিগগিরই, অযোধ্যায় সদ্য প্রাণ প্রতিষ্ঠা হওয়া রাম জন্মভূমি মন্দিরে পাহারা দিতে আসছে ইজরায়েলের তৈরি অ্যান্টি-ড্রোন ব্যবস্থা। তবে শুধু রাম মন্দির নয়, উত্তর প্রদেশের অন্যান্য প্রধান পর্যটনস্থল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলিতে পাহারা দেবে ইজরায়েলের তৈরি এই অ্যান্টিৃড্রোন ব্যবস্থাগুলি। সোমবার (২৯ জানুয়ারি), এমনটাই জানিয়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশের এক সূত্র। ওই সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই ইজরায়েলি পক্ষের সঙ্গে ড্রোনরোধী ব্যবস্থাগুলির ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে পুলিশ। শিগগিরই উত্তর প্রদেশ পুলিশের হতে চলে আসবে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উন্নতমানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

এর আগেও, ইজরায়েলের কাছ থেকে বেশকিছু উন্নতমানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। তবে, এই প্রথম তারা কোনও অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি সংগ্রহ করছে। সম্প্রতি অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম ব্যবহার করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। তবে, সেই ব্যবস্থাগুলি তাদের নিজস্ব ছিল না। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড বা এনএসজি, স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা এসপিজি এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীগুলির কাছ থেকে ওই ব্যবস্থাগুলি ধার করেছিল উত্তর প্রদেশ পুলিশ। অযোধ্যার আগে, আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে ধার করেই ড্রোন-রোধী ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে পুলিশ। এবার তারা নিজেরাই এই ব্যবস্থা সংগ্রহ করতে চলেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশ-বিদেশের বেশ কয়েকটি অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমের বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর, ইজরায়েলে তৈরি এই ড্রোনরোধী ব্যবস্থাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনও ড্রোন ঢুকে পড়লেই, তাকে শনাক্ত করবে। শুধু তাই নয়, রাডারে ধরা পড়া শত্রু পক্ষের যে কোনও ড্রোনকে ধ্বংস করার ক্ষমতাও রয়েছে এই ব্যবস্থার। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, হুমকির গুরুত্বর উপর নির্ভর করে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে পুলিশকে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করা হবে, নাকি অন্য কোনও পদক্ষেপ করা হবে। লেজার ব্যবহার করে শত্রুপক্ষের ড্রোনগুলি ধ্বংস করার পাশাপাশি, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ড্রোনগুলি হ্যাক করতেও পারবে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমগুলির সঙ্গে স্নাইপারদেরও মোতায়েন করা হবে। অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম যে ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করতে পারবে না, স্নাইপার বন্দুক থেকে গুলি চালিয়ে সেগুলিকে ধ্বংস করার দায়িত্ব তাদের। অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমগুলির ১০টি ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশ পুলিশের কাছে এসে গিয়েছএ। লখনউ, বারাণসী এবং মথুরার মতো শহরের সংবেদনশীল জায়গাগুলিতে প্রয়োজন অনুসারে এগুলিকে লাগানো হবে। উত্তর প্রদেশ পুলিশের এক কর্তা বলেছেন, “ড্রোন আধুনিক যুগের অস্ত্র। ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে এবং আমরা তাদের মারাত্মক অপব্যবহার দেখেছি। সৌভাগ্যবশত, আমাদের এখনও পর্যন্ত এই ধরনের পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়নি। তবে আমাদের জনগণ এবং সম্পদের নিরাপত্তার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।”

Next Article