লখনউ: শুধু খাতায়-কলমে নয়, জীবনের পাঠও দেওয়ার গুরুভার থাকে শিক্ষকদের উপরে। কিন্তু সেই শিক্ষকই যদি ছাত্রদের ভুল পথে চালনা করেন? পরীক্ষার খাতায় উত্তর লিখতে সাহায্য করছেন শিক্ষকরাই, আগে থেকেই লিখে রাখা উত্তর তুলে দিচ্ছেন পরীক্ষার্থীদের হাতে। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তর প্রদেশ। সেখানে পরীক্ষায় পডুয়াদের টুকলি করতে সাহায্য করার অভিযোগে ৬ শিক্ষককে গ্রেফতার করল উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের গাজিপুরে।
উত্তর প্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে যে বোর্ডের পরীক্ষা চলছে, তাতে পড়ুয়াদের টুকলি করতে সাহায্য করার অভিযোগে ধাউয়া অর্জুন এলাকার একটি সরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল সহ মোট ৬ জন শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তাঁদের গ্রেফতার করে বারাণসীর এসটিএফ ইউনিট।
এসটিএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়েই গাজিয়াবাদ জেলার কেদারনাথ ইন্টার কলেজ থেকে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা টাকার বিনিময়ে বোর্ড পরীক্ষায় পড়ুয়াদের টুকলি করতে সাহায্য করছিলেন পড়ুয়াদের। তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থবিদ্যার পরীক্ষা চলছিল, গার্ডরা সমাধান করা উত্তরপত্রই পড়ুয়াদের সরবরাহ করছিলেন। প্রিন্সিপাল নিজেই সমাধান করা উত্তরপত্র মেসেজিং অ্যাপে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। এরপরে গার্ডরা সেই উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের পাঠায়। প্রতিটি সমাধান করা প্রশ্নপত্রের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে নিয়েছিল অভিযুক্ত শিক্ষকেরা। ধৃতদের নাম হল স্কুলের প্রিন্সিপাল তথা অ্যাসিসটেন্ট সেন্টার ম্যানেজার রবীন্দ্র রাই, অশোক কুমার পটেল, রাজনীশ কুমার, শৈলেন্দ্র যাদব, রবি যাদব ও পিযূষ কুমার যাদব।