কানপুর: বিয়েতে পণ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পণের দাবি মেটাতে পারেনি স্ত্রী পরিবার। শোধ তুলতে তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের কানপুর জেলার চাকেরি এলাকায়। বুধবার গণধর্ষণে অভিযুক্ত স্বামী ও তাঁর বন্ধুদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। এর পরই ঘটনার কথা জানিয়েছে চাকেরি থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০২০ সালের মার্চ মাসে বিয়ে হয়েছিল নির্যাতিতা মহিলার। সে সময় তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পণ হিসাবে ২ লক্ষ নগদ টাকা এবং একটি গাড়ি। কিন্তু ২ বছরেও সেই পণের দাবি মেটাতে পারেনি মহিলার বাপের বাড়ির লোকেরা। এ জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকেরা প্রায়শই তার উপর অত্যাচার করত বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। সম্প্রতি তাঁকে একটি ঘরে তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
পুলিশ দায়ের করা অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছেন, শ্বশুরবাড়িতে তালা বন্ধ ঘরে ছিলেন তিনি। সে সময় তিন বন্ধুকে নিয়ে সেখানে নিয়ে ঢোকেন তাঁর স্বামী। ঘরের মধ্যেই চার জন মিলে তাঁকে সারা রাত গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ওই মহিলা বলেছেন, “আমি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করায় আমার গায়ে পেট্রল ঢেকে পুড়িয়ে মারা চেষ্টাও করা হয়েছিল।”
ঘটনা নিয়ে চাকেরি থানার স্টেশন হাউস অফিসার শৈলেন্দ্র সিং বলেছেন, “মহিলার অভিযোগ পেয়ে আমরা মামলা দায়ের করেছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অন্য এক ঘটনায় নিজেদের মেয়েকে ২ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। নাবালিকার বয়স ৪৫ বছর। সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। এক অঙ্গনওয়ারি কর্মীকে গোটা ঘটনার কথা জানায় সে। তার পর ওই কর্মী খবর দেয় পুলিশকে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বাবা প্রায় ২ বছর ধরে অত্যাচার চালিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের বুন্দি জেলায়।