লখনউ: মহাভারতে শকুনির বিরুদ্ধে পাশা খেলার সময়, স্ত্রী দ্রৌপদীকে বাজি ধরে হেরেছিলেন যুধিষ্ঠির। মহাভারতের সেই অন্ধকারময় পর্ব যেন ফিরে এল আধুনিক ভারতে। তবে, খেলাটা পাশার বদলে লুডো, আর এই ক্ষেত্রে স্বামী নন, স্ত্রী নিজেই নিজেকে বাজি ধরে হেরেছেন। আর বাড়িওয়ালার সঙ্গে সেই লুডো খেলায় হারের পর থেকে ওই মহিলা বাড়িওয়ালার সঙ্গেই থাকতে শুরু করেছেন বলে অভিযোগ তাঁর স্বামীর। কোনওভাবেই স্ত্রীকে নিজের ঘরে ফেরাতে না পেরে অবশেষে তিনি দ্বারস্থ হয়েছেন পুলিশের। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলায়।
এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছিল ছয় মাস আগে। প্রতাপগড়ের দেবকালী এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন রেনু ও তাঁর স্বামী। ছয়নমাস আগে কাজের সূত্রে রাজস্থানের জয়পুরে চলে যান রেনুর স্বামী। প্রতাপগড়ের বাড়িতে একা থেকে যান রেনু। লুডো খেলায় আসক্তি ছিল তাঁর। স্বামীর অনুপস্থিতিতে তিনি বাড়িওয়ালার সঙ্গে নিয়মিত বাজি ধরে লুডো খেলা শুরু করেছিল।
জয়পুর থেকে সংসার খরচ চালনোর জন্য তাঁর স্বামী যে অর্থ পাঠাতেন, তার সবটাই রেনু লুডো খেলার বাজিতে লাগাতেন। একদিন লুডো খেলার সময় হাতের সব টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায়, রেনু নিজেকেই বাজি ধরেছিলেন বলে দাবি তাঁর স্বামীর। সেই খেলাতেও হেরে যাওয়ার পর থেকে দুই সন্তানের মা, বাড়িওয়ালার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
পরে, স্বামীকে ফোন করে তিনি পুরো ঘটনাটি খুলে বলেন। এরপরই স্বামী প্রতাপগড়ে ফিরে এসে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি এই ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও জানিয়েছেন। কিন্তু রেনুর স্বামীর দাবি, তিনি রেনুকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, বাড়িওয়ালাকে ছেড়ে আসার জন্য। কিন্তু, তা করতে প্রস্তুত নন রেনু। স্বামীর কোনও কথাই শুনছেন না তিনি। এই অবস্থায় স্ত্রীকে ফিরে পেতে পুলিশ প্রশাসনই তাঁর একমাত্র ভরসা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে, সুবোধ গৌতম নামে এক পুলিশ আধিকারিককে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “আমরা লোকটির (বাড়িওয়ালা) সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরই আমরা তদন্ত শুরু করব।”