লখনউ: ৭ দফা নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে উত্তর প্রদেশের ক্ষমতা দখলের ডাক দিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party) প্রধান অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। এমনকী দলকে জেতাতে প্রথমবার বিধানসভা ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিলেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ১০ মার্চ ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে গতবাররের তুলনায় আসন সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণের বেশি বাড়ালেও লখনউয়ের কুর্সি অধরা থেকে গিয়েছে অখিলেশের। জনতার বিপুল আশীর্বাদ নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন হিন্দুত্বের ‘পোস্টারবয়’ যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। বিধানসভা ভোটে পরাজয় হলেও দলের অন্দরে বিদ্রোহের মুখোমুখি হতে হয়নি সপা প্রধানকে। ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যেই এবার অখিলেশের দলেকে বড়সড় ধাক্কা দিতে পারেন দলেই এক প্রবীণ নেতা। লখনউয়ের অন্দরে জল্পনা, অখিলেশের সঙ্গ ছাড়তে পারেন সমাজবাদী পার্টির প্রবীণ নেতা তথা বিধায়ক মহম্মদ আজম খান (Azam Khan)। সূত্রের খবর, অখিলেশের সঙ্গ ত্যাগ করে নয়া দল তৈরি করতে পারেন আজম।
আজমের দলত্যাগ নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন আজম খানের মিডিয়া ইনচার্জ ফাসাহত খান শানু। তিনি বলেন, “যোদী আদিত্যনাথ সঠিকভাবেই বলেছিলেন অখিলেশ চান না আজম খান জেলের বাইরে বের হন।” রবিবার রাতে রামপুরের দলীয় অফিসে খান অনুগামীদের সঙ্গে বৈঠকের পরই এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন ফাসাহত। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জেলবন্দি রয়েছে আজম। তবে এই দু’বছরে অখিলেশ মাত্র একবার তাঁর সঙ্গে জেলে দেখা করতে গিয়েছেন। অখিলেশের এই আচরণে আজম খান খুবই দুঃখিত। প্রগতিশীল সমাজবাদী পার্টি লোহিয়ার প্রধান শিবপাল যাদব অখিলেশের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপিতে যেতে পারেন, এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে আজম খানের সপা ত্যাগের জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে।
২০২২ সালে জেলবন্দি অবস্থায় বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন আজম খান। জেল থেকে ভোটে লড়েও উত্তর প্রদেশের রামপুর কেন্দ্র থেকে দশম বারের জন্য ভোটে জিতে রেকর্ড করেছেন আজম খান। ফাসাহাতের মতে, “আজম খানের জন্য শুধু রামপুরই নয়, বিভিন্ন জেলার মুসলিমরা সমাজবাদী পার্টিকে ভোট দিয়েছেন। তবে সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সভাপতি মুসলিমদের গুরুত্ব দেননি। আজম খান ২ বছর ধরে জেলবন্দি। তবে অখিলেশ মাত্র একবার ওনার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। শুধু এটাই নয়, দলে মুসলিমদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এর আগেই সপা সাংসদ সাফিকুর রহমান একই অভিযোগ করেছিলেন।” সপার প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিং যাদবের বিশ্বস্ত সহযোগী ছিলেন আজম। তবে অখিলেশের হাতে দলের দায়িত্ব যাওয়া পর আজমকে কোণঠাসা করা হয়েছে বলেই মনে করেন অনেকে। শেষমেশ আজম দল ছেড়ে বেরিয়ে যান কি না সেটাই এখন দেখার।