TV9 বাংলা ডিজিটাল: গুগল (Google), ফেসবুকের মতো একাধিক ইন্টারনেট সংস্থার উপর কর চাপিয়েছে ভারত-সহ মোট ১০ টি দেশ। সেই কর চাপানোর পদ্ধতিতে তদন্ত করেছিল আমেরিকা। খুব সম্প্রতি এই কর সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে হোয়াইট হাউস। প্রথমেই ফল প্রকাশ হবে ভারত, অস্ট্রিয়া ও ইতালির কর প্রসঙ্গে।
তবে মার্কিন ইন্টারনেট সংস্থায় কর চাপায় খুশি নয় হোয়াইট হাউস। জুন মাসে ট্রাম্প প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছিল ইউএস ট্রেড অ্যাক্ট ১৯৭৪ এর ৩০১ ধারায়। এই একই ধারায় তদন্ত করে চিনের বিরুদ্ধে মেধা সম্পত্তি চুরির অভিযোগ এনে মার্কিন পণ্যের উপর চিনা কর সংশোধন করেছিল আমেরিকা।
ভারত, অস্ট্রিয়া ও ইতালি ছাড়াও ব্রাজিল, চেক রিপাব্লিক, ইন্দোনেশিয়া, স্পেন, তুর্কি ও ব্রিটেনের উপরও কর তদন্তের ফল প্রকাশ করবে আমেরিকা। যদিও তদন্ত নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ মার্কিন বাণিজ্য সংক্রান্ত মুখপাত্র রবার্ট লাইটিজার। গত বছর ফ্রান্সের ডিজিটাল করের পাল্টা ফ্রান্সের ওয়াইনে ২৪০ কোটি ডলারের কর চাপিয়ে ছিল আমেরিকা। যদিও ফ্রান্স ও আমেরিকা দুই দেশই সম্মতি জানিয়েছে যে তারা দেরি করে একেবারে ২০২০ সালের শেষে কর সংগ্রহ করবে।
আন্তর্জাতিক ডিজিটাল কর চুক্তি যা অরগানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপম্যান্টের (OECD) তত্ত্বাবধানে ছিল তা এখনও স্বাক্ষরিত হয়নি। তাই ওইসিডি চুক্তি ছাড়াই বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতো ডিজিটাল কর ধার্য করছে। ফলে আমেরিকার সঙ্গে রীতিমতো অন্য দেশগুলি কর যুদ্ধে নেমে পড়ছে। বেলজিয়াম, নরওয়ে, লাতভিয়াও জানিয়েছে তারা আগামী বছর থেকে ডিজিটাল কর আদায় করবে।
আরও পড়ুন: জর্জিয়ায় দু’বার গণনার পরও জয়ী বাইডেন, বিফলে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা
মার্কিন মুলুকে ক্ষমতা বদল হয়েছে। তাই এই বিষয়েও নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না যে বাইডেন এলে এই কর পদ্ধতি কোন দিকে মোড় নেবে। ট্রাম্প বিশেষত ওইসিডির উপরই ভারসা রাখতে চেয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে বাইডেনও কি তাই করবেন? এ প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে। এছাড়াও ট্রাম্প ভারতের অধিক কর চাপানো প্রসঙ্গে একাধিক বার ‘শুল্ক রাজা’ বলে কটাক্ষ করেছেন। বাইডেন জমানায় কি ভারতের সে অপবাদ ঘুচবে। যদিও আন্তর্জাতিক কর চুক্তি যাতে সফল হয় তার জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।