লখনউ: কথা দিয়েছিলেন গুন্ডারাজের বদলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবেন। আর সেই প্রতিশ্রুতিরই অন্যতম অংশ ছিল নারী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা। সেই সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এ বার নয়া নির্দেশিকা জারি করল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, কোনও মহিলা কর্মীকেই তাঁর লিখিত অনুমতি ছাড়া ভোর ৬টার আগে এবং সন্ধে ৭টার পর কাজ করানো যাবে না। যদি কোনও মহিলা কর্মী সন্ধে ৭টার পর কাজ করেন, তবে তাঁর জন্য যাতায়াত ও খাবারের ব্যবস্থাও করতে হবে। এছাড়া তাঁদের জন্য যথাযথ সুরক্ষা ও নজরদারির ব্যবস্থাও করতে হবে।
শনিবারই উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে এই লিখিত নির্দেশিকা জারি করা হয়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নারী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বার থেকে কোনও মহিলা কর্মীকেই তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে সন্ধের পর কাজ করানো যাবে না। যদি কোনও মহিলাকে সন্ধে ৭টা বা সকাল ৬টার আগে কাজ করানো হয়, তবে সেক্ষেত্রে তাঁর লিখিত সম্মতির প্রয়োজন পড়বে। যারা সন্ধ্যার পর কাজ করবেন, তাদের বিনামূল্য খাবার ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে।
এর আগেই উত্তর প্রদেশে বিজেপি সরকারের তরফে নারী ক্ষমতায়নের জন্য ৭৫.৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। অনলাইনে প্রতারণা ও হেনস্থার মতো অপরাধের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় জেলা স্তরেও সাইবার সাপোর্ট ডেস্ক তৈরি করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এছাড়া মিশন শক্তির অধীনেও মহিলা সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী বয়সসীমার মহিলাদের তুলনায় তিনগুণ বেশি পুরুষ কর্মরত। বিগত পাঁচ বছরেও কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ ভারসাম্য তৈরি হয়নি। যে রাজ্য়গুলিতে সবথেকে কম সংখ্যক মহিলারা কর্মরত, তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে বিহারের নাম। রাজ্যের মাত্র ১৪ শতাংশ মহিলা কর্মরত। এরপরেই রয়েছে উত্তর প্রদেশ, সেখানে ১৭ শতাংশ মহিলা কর্মরত। তৃতীয় স্থানে রয়েছে অসম, সেখানে ১৮ শতাংশ মহিলা কর্মরত।