Minor Abuse: বিয়ের চাপ গণধর্ষণে অভিযুক্তর, গায়ে আগুন লাগিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে নাবালিকা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Nov 23, 2022 | 5:56 PM

Uttar Pradesh: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি ঘটেছিল ধর্ষণের ঘটনা। ওই দিন মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই নাবালিকা। সে সময় দুই অভিযুক্ত পিছন থেকে এসে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। এবং পালা করে গণধর্ষণ করে।

Minor Abuse: বিয়ের চাপ গণধর্ষণে অভিযুক্তর, গায়ে আগুন লাগিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে নাবালিকা
প্রতীকী ছবি

Follow Us

ফারুকাবাদ: এক বছর আগে গণধর্ষণ করেছিল। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পায় দুই অভিযুক্ত। এর পরই মামলা তোলার জন্য নির্যাতিতাকে চাপ দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এমনকি অভিযুক্তদের এক জন বিয়ের জন্যও নির্যাতিতাকে চাপ দেয় বলে অভিযোগ। এর পর গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই নাবালিকা নির্যাতিতা। বর্তমানে দিল্লির হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ওই নাবালিকা। তার দেহের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের ফারুকাবাদ জেলায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি ঘটেছিল ধর্ষণের ঘটনা। ওই দিন মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই নাবালিকা। সে সময় দুই অভিযুক্ত পিছন থেকে এসে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। এবং পালা করে গণধর্ষণ করে। পুলিশকে দেওয়া বিবৃতিতে ওই নাবালিকা বলেছিল, “আমাকে জোর কর্ ফাঁকা জায়গা নিয়ে গিয়েছিল। আমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছিলাম। কিন্তু এক জন আমার হাত ধরে রেখেছিল অন্য জন ধর্ষণ করেছিল। এ ভাবে দুজন ধর্ষণ করে আমাকে ফেলে চলে যায়। আমার যখন জ্ঞান ফেরে তখন দেখি আমি হাসপাতালে।”

পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় জেলে ছিল দুই অভিযুক্ত। অগস্টে জামিন পায় তারা। এর পর বাজারে, রাস্তাঘাটে ওই নাবালিকাকে হুমকি দিত অভিযুক্তরা। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিত বলে অভিযোগ। এক অভিযুক্ত বিয়ে করার জন্যও চাপ দেয়। ওই নাবালিকার বাবা যখন মাঠে কাজে গিয়েছিল তখনই গায়ে আগুন লাগায় ওই নাবলিকা। তখন তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ফারুকাবাদ জেলা হাসপাতালে। পরিস্থিতির অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় দিল্লির সফদরগঞ্জ হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে তাকে দেখে আসে ফারুকাবাদের পুলিশ সুপার। ওই নাবালিকা এবং তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য এক অফিসারকেও নিয়োগ করা হয়েছে।

এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন নাবালিকার বাবা। তাঁর অভিযোগ, “দুই অভিযুক্ত আমার মেয়ের জীবনকে নরকে পরিণত করেছে। মানসিক ভাবে নির্যাতন শুরু করে ওরা।” ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

Next Article