লখনউ: মদ্যপ ছিলেন তাঁর স্বামী। সেই কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদ করেছিলেন। গত দুই বছর ধরে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে লিভ ইন করছিলেন মহিলা ও তাঁর ১৪ বছরের কিশোরী মেয়ে। কিন্তু, গত বুধবার ওই পুরুষটি তাঁর মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ ওই মহিলার। ‘মেয়েকে বাঁচাতে’ এবং লিভ ইন সঙ্গীকে ‘শিক্ষা দিতে’ তিনি ছুড়ি দিয়ে তাঁর প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩৬ বছর বয়সী ওই মহিলা থাকেন লখিমপুর খেরির মহেবগঞ্জ এলাকায়। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর, ৪ বছরের ছোট এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। গত ২ বছর ধরে মেয়েকে নিয়ে ওই পুরুষটির সঙ্গেই থাকতেন তিনি। গত বুধবার, অন্যান্য দিনের মতোই তিনি খামারে কাজ করছিলেন। সেই সময়ই তাঁর প্রেমিক, তাঁর ১৪ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েকে বাড়িতে একলা পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। তবে, পুরুষটি ঠিক যে সময় তার ওই ভয়ঙ্কর উদ্দেশ্যে সফল হতে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময়ই তিনি খামার থেকে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। ফলে তিনি তাঁর প্রেমিককে হাতে-নাতে ধরে ফেলেন।
মহিলা আরও দাবি করেছেন, মেয়েকে বাঁচাতে গেলে লোকটি তাঁর উপরও হামলা করেছিল। এরপরই তিনি রান্নাঘর থেকে একটি ছুরি এনে প্রেমিকের গোপণাঙ্গ কেটে দেন। আর এক জন্য ওই মহিলা কোনও অনুশোচনাও নেই। তিনি বলেছেন: “ঘটনার সময় আমি খামারে কাজ করছিলাম। সৌভাগ্যবশত আমি সময় মতো বাড়িতে ফিরে এসে তাকে (তাঁর প্রেমিককে) হাতে-নাতে ধরে ফেলি। এরপর ও আমার উপরও চড়াও হয়েছিল। আমি কোনও মতে ওকে ঠেলে সরিয়ে রান্নাঘর থেকে একটা ছুরি নিয়ে এসেছিলাম। ওকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ওর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেছিলাম। আমি যা করেছি তার জন্য আমার কোনও অনুশোচনা নেই।”
লখিমপুর থানার স্টেশন হাউস অফিসার জানিয়েছেন, মহিলার প্রেমিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণ এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা বা পকসো আইনের অন্যান্য ধারায় মামলা করেছে। অবশ্য, ওই মহিলা তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার পর থেকে অভিযুক্তের শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরও ভালো চিকিত্সার জন্য তাকে লখনউ শহরে স্থানান্তরিত করা হবে।
তবে, প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার জন্য ওই মহিলাও অভিযুক্ত হবেন কি না, সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয়। গত মে মাসে অন্ধ্র প্রদেশে প্রায় একই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। অন্ধ্রপ্রদেশের তেনালিতে মায়ের প্রেমিকের যৌন নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে তার পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়েছিল এক ২২ বছর বয়সী মহিলা। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল।