দেহরাদুন: বিয়ের মরশুম শুরু হয়েই গিয়েছে। দেশ জুড়ে বেজে উঠেছে বিয়ের সানাই। মণ্ডপ জুড়ে এখন চার হাত এক হওয়ার হাওয়া বইছে। এক রিপোর্ট অনুযায়ী, একমাস ব্যাপী এই বিয়ের মরশুমে দেশে প্রায় ৩২ লক্ষ বিয়ে হতে চলেছে। আর বিয়ের এই মণ্ডপ থেকেই শুরু হবে ৬৪ লক্ষ জনের নয়া জীবন। বিয়ের মণ্ডপ থেকেই দুটি মানুষের নতুন পথ চলা শুরু হয়। আবার এই মণ্ডপ কত বিয়ে ভেঙে যাওয়ার সাক্ষী থাকে। গল্প তৈরি হওয়ার আগেই সেই ছোটো গল্পের সমাপ্তি লেখা হয়ে যায়। যে গল্পে মিলন থাকে না। থাকে বিচ্ছেদ। যেমনটা উত্তরাখণ্ডে এই বিয়ের মরশুমে দেখা গেল। বিয়ের লেহেঙ্গা কম দামি হওয়ায় বেঁকে বসলেন বউ। করলেন না বিয়ে।
দুই পরিবারের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে বা বর-বউয়ের মধ্যে মিলমিশ না থাকার কারণে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনা আগেও দেখা গিয়েছে। তবে বিয়ের লেহেঙ্গা দামি না হওয়ায় বিয়ে ভেঙে দেওয়ার ঘটনা হয়তো এই প্রথম। উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে বিয়ের সব তোড়জোড় করা হয়েছিল। এ বছর জুন মাসেই বাগদান হয়ে গিয়েছিল পাত্রীর। ৫ নভেম্বর ছিল পাত্র-পাত্রীর চারহাত এক হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বিয়ে হল না তাঁদের। পাত্রী বুঝতে পারেন পাত্রের পরিবারের তরফে তাঁকে কম দামি লেহেঙ্গা দেওয়া হয়েছে। তবে বিয়ের দিন নিজের ধৈর্য হারিয়ে সেই পোশাক ছুঁড়ে ফেলে বিয়ে ভেঙে দেন পাত্রী।
পাত্রপক্ষের বাড়ির বক্তব্য় অনুযায়ী, ১০ হাজার টাকা দিয়ে সেই লেহেঙ্গাটি কেনা হয়েছিল। তাঁরা আরও দাবি করেছিলেন, লখনউ থেকে একমাত্র পাত্রীর জন্যই এই লেহেঙ্গা নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে তা দেখেই রেগে গিয়ে বিয়ে ভেঙে দেন পাত্রী। স্থানীয়দের মতে, পাত্রের বাবা সেই যুবতীকে নিজের এটিএম কার্ডও দিয়ে নিজের পছন্দ মতো লেহেঙ্গা কেনার জন্যও বলেন। তবে তাতে অভিমানের বরফ গলেনি। তবে নিজেদের মধ্যে মিটমাট না হওয়ায় মামলাটি পুলিশ অবধি গড়ায়। তারপর বিয়ে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তেই সম্মতি জানানো হয়।