দেরাদুন: ন্যাশনাল ডিফেন্স আকাদেমির কোচিং-এর অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয় দুন ডিফেন্স কলেজকে। প্রতিরক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যেখানে, প্রকৃতির রোষের সামনে আত্মসমর্পণ করতে হল সেই প্রতিষ্ঠানকেই। সোমবার (১৪ অগস্ট), দেরাদুনের মালদেবতা এলাকায় ধসে পড়ল দুন ডিফেন্স কলেজের একটি ভবন। শুধু ধসে যাওয়া নয়, বান্দল নদীর প্রবল স্রোতের টানে ভবনচি একপ্রকার ভেসে গিয়েছে বলা চলে। গত ২৪ ঘন্টা ধরে উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টি চলছে। অবিরাম বর্ষণে বান্দল-সহ রাজ্যের অধিকাংশ নদীই উপচে গিয়েছে।
বান্দল নদীর ঠিক তীরে অবস্থিত দুন ডিফেন্স কলেজ। গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে এখন বিপজ্জনক সীমা দিয়ে বইছে বান্দল নদী। লাল রঙের দুন ডিফেন্স কলেজের ভবনটির নীচের মাটি ভেসে গিয়েছিল নদীর স্রোতে। কিছু পরে, ভবনটির একটা বড় অংশ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে নদীর উপর। কলেজের পার্কিং লটে বেশ কিছু গাড়ি রাখা ছিল। সেগুলিরও ক্ষতি হয়েছে। সূত্রের খবর, গত বছরও বর্ষণ ও বন্যার জেরে কলেজ ভবনটির ক্ষতি হয়েছিল। তারপর সংস্কারের কাজও হয়নি। চলতি বছরেও বর্ষার শুরু থেকেই ভবনটির আরও ক্ষতি হয়। তবে দুন ডিফেন্স কলেজ শুধু নয়, গোটা মালদেবতা অঞ্চলই ধস আর বন্যার জেরে বিপর্যয়ের মুখে।
A building collapses in Doon Defence College, Uttrakhand, due to incessant heavy rainfall
Rivers have reached danger marks in the state #PrayersForUttrakhand 🏔️#Monsoon pic.twitter.com/Xy5TMYKzvv
— Supriya Bhardwaj (@Supriya23bh) August 14, 2023
দেরাদুনের আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে উত্তরাখণ্ডের ছয়টি জেলায় ভারী বৃষ্টির প্রেক্ষিতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। তার মধ্যে দেরাদুন ও নৈনিতালও রয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে ভূমিধসের কারণে জাতীয় সড়ক-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তেহরির কুঞ্জপুরি বাগারধরের কাছে ভূমিধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ঋষিকেশ-চাম্বার মধ্যের জাতীয় মহাসড়ক। ঋষিকেশ-দেবপ্রয়াগ-শ্রীনগর জাতীয় মহাসড়কেও ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গাড়ি চলছে, তবে গতি খুব কম। দেরাদুন এবং চম্পাওয়াতে, প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার কারণে এদিন সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। জেলাশাসক এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।
চলতি বর্ষায় একটানা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডের প্রবল ক্ষতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি সংক্রান্ত বিভিন্ন কারণে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্তত ১৭ জনের কোনও খোঁজ নেই। প্রায় ১,১৬৯টি বাড়ি এবং বিপুল পরিমাণ কৃষি জমিরও ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্চতরাখণ্ড সরকার।