সিমলা: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল আনতে চলেছে উত্তরাখণ্ড। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল তৈরির জন্য রাজ্য একটি কমিটি গঠন করেছিল। ২ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকারের কাছে তাদের খসড়া প্রতিবেদন জমা দেবে সেই কমিটি। তারপর, সেই প্রতিবেদন অনুসারে, আগামী বিধানসভা অধিবেশনে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল পেশ করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে করা এএক টুইটে পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি মেনে, রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাঁর সরকার।
২০২২-এর ২৭ মে, বিচারপতি রঞ্জন প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি তৈরি এবং তার বাস্তবায়নের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য, এই কমিটি গঠন করেছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। ২৬ জানুয়ারি মেয়াদ শেষ হয়েছে এই কমিটির। এর আগে তিনবার কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এবার কমিটি তার রিপোর্ট উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে জমা দেবে। তারপর সেই রিপোর্ট মন্ত্রিসভায় সামনে পেশ করা হবে। মন্ত্রীসভা অনোমদন দিলে, সেটি বিধানসভায় পেশ করা হবে। বিধানসভায় পাস হলেই এই খসড়া বিল আইনে পরিণত হবে। প্রসঙ্গত ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। ক্ষমতায় ফেরার পরই রাজ্যে এই আইন প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ধামি।
ভারতের সংবিধানের ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ভারতব্যাপী একটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রবর্তনের চেষ্টা করতে হবে। বিবাহ, সম্পত্তির উত্তরাধিকার, দত্তক গ্রহণের মতো বিষয়গুলি নিয়ে গোটা দেশে একই আইন চালু করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে এই বিষয়গুলির বিচারের জন্য, বিভিন্ন ধর্ম ভেদে আলাদা আলাদা আইন রয়েছে। হিন্দু বিবাহ আইন, মুসলিম বিবাহ আইন ইত্যাদি। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এই ভিন্ন ভিন্ন আইন বাকিল করে, একক আইন প্রবর্তনের কথা বলে। সংবিধানে এই ধরনের আইন প্রবর্তনের চেষ্টা করার নির্দেশ থাকলেও, বছরের পর বছর ধরে এটি রাজনৈতিক মহলের বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর জুন মাসে, মধ্যপ্রদেশের ভোপালে এক জনসভায় এই আইন প্রবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।