Uttarakhand: কেউটের ছোবলে প্রেমিককে হত্যা! নয়া সঙ্গীকে নিয়ে দেশছাড়া যুবতী

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jul 21, 2023 | 7:25 AM

Uttarakhand: তিনপানি রেলক্রসিংয়ের কাছে, হলদওয়ানি পুলিশ তাঁর নিজের গাড়ি থেকেই অঙ্কিত চৌহানের মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল। গাড়ির পিছনের সিটে তাঁর দেহ পড়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ দেখেছিল, গাড়িটির বাতানুকূল ব্যবস্থা থেকে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস বের হচ্ছে।

Uttarakhand: কেউটের ছোবলে প্রেমিককে হত্যা! নয়া সঙ্গীকে নিয়ে দেশছাড়া যুবতী
কেউটে সাপ দিয়ে প্রেমিককে হত্যার অভিযোগ মাহি আর্যর বিরুদ্ধে

Follow Us

নৈনিতাল: বিষ প্রয়োগ, শ্বাসরোধ, ছুরিকাঘাত – প্রতিদিনই হত্যার নতুন নতুন উপায়ের কথা শোনা যায়। প্রেমিকাকে হত্যা করে তার দেহ খণ্ড খণ্ড করার খবরও পুরোনো হয়ে গিয়েছে। তবে, উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানি থানায় এমন একটি মামলা এসেছে, যা এই সব ঘটনাকে পিছনে ফেলে দিতে পারে। মনে হতে পারে, এটা কোনও বাস্তব ঘটনা নয়, কোনও বলিউডি থ্রিলার সিনেমার চিত্রনাট্য। হলদওয়ানি থানার পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, ৩২ বছর বয়সী এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে তাঁর প্রেমিক। আর হত্যা করা হয়েছে একটি কেউটে সাপের সাহায্যে! হত্যার পর, নতুন এক প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে সেই মহিলা।

এই ঘটনার সূত্রপাত হয় ১৫ জুলাই। তিনপানি রেলক্রসিংয়ের কাছে, হলদওয়ানি পুলিশ তাঁর নিজের গাড়ি থেকেই অঙ্কিত চৌহানের মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল। গাড়ির পিছনের সিটে তাঁর দেহ পড়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ দেখেছিল, গাড়িটির বাতানুকূল ব্যবস্থা থেকে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস বের হচ্ছে। ফলে, সেটিই তার মৃত্যুর কারণ বলে ধারনা হয়েছিল পুলিশের। মনে করা হয়েছিল, গাড়ির মধ্যে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস জমে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে, তদন্তের গতি বদলে দিয়েছিল অঙ্কিত চৌহানের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। জানা যায়, সাপের বিষ তাঁর প্রাণ কেড়েছে। তাঁর দুই পায়েই সাপের কামড়ের চিহ্নও ছিল।

এরপর পুলিশ ঘটনার গভীরে যেতে শুরু করেছিল। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি যতগুলি সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল, সেগুলি খতিয়ে দেখা হয়। একই সঙ্গে অঙ্কিত চৌহানের ফোনকলের বিবরণও দেখা হয়। এভাবেই সামনে আসে মাহি আর্যর নাম। পুলিশ জানতে পারে, মাহি ও অঙ্কিতের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরপর, অঙ্কিতের বোন হলদওয়ানি থানায় মাহি এবং দীপ কান্দপাল নামে তার এক বন্ধুই ষড়যন্ত্র করে তাঁর ভাইকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন। মাহি আর্যর সন্ধান না পেয়ে, তার কল লিস্ট পরীক্ষা করে পুলিশ। জানা যায়, রমেশ নাথ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সে। কে এই রমেশ নাথ? সে একজন পেশাদার সাপুরে। তাকে জেরা করতেই সে অঙ্কিত চৌহান হত্যার নৃশংস পরিকল্পনার কথা জানায় পুলিশকে।

জেরায় সে জানিয়েছে, মাহি আর্য তাঁর কাছে সাহায্যের জন্য এসেছিল। অঙ্কিতকে হত্যা করতে চেয়েছিল সে। তবে হত্যাটিকে সে দুর্ঘটনা হিসেবে সাজাতে চেয়েছিল। আর সেই কারণেই সাপুরের কাছে এসেছিল সে। সাপের কামড়ে অঙ্কিতকে হত্যা করার জন্য রমেশ নাথকে ১০,০০০ টাকা দিয়েছিল মাহি। কিন্তু, কেন হঠাৎ দীর্ঘদিনের প্রেমিককে হত্যা করল সে? রমেশ নাথের দাবি, অঙ্কিত চৌহান তার জীবনের সর্বক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করত বলে জানিয়েছিল মাহি। এর ফলে মাহি অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল। আর এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে, অঙ্কিতকে হত্যা করতে চেয়েছিল সে।

রমেশ নাথ আরও জানিয়েছে, দীপ কান্দপাল নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্প্রতি মাহির নতুন করে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। হত্যার পর, দীপের সঙ্গেই মাহি নেপালে পালিয়ে গিয়েছে। নৈনিতালের এসএসপি পঙ্কজ ভাট জানিয়েছেন, তাদের ধরতে পুলিশের দুটি দল গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Next Article