নয়া দিল্লি: ১৭ দিন ধরে টানেলের মধ্যে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। সামান্য কিছু খাবার আর ওষুধের ওপর ভরসা করে কীভাবে তাঁরা দিন কাটিয়েছেন, কারও জানা নেই। অবশেষে আজ, মঙ্গলবার তাঁদের উদ্ধার করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় রয়েছেন গোটা দেশের মানুষ। আটকে রয়েছেন বাংলার তিন শ্রমিকও। তাঁদের বের উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনতে উত্তরকাশী পৌঁছলেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা। একটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই রওনা হয়েছেন টানেলের দিকে।
টানেল থেকে উদ্ধার হওয়ার পর ওই শ্রমিকরা যাতে কোনও সমস্যা ছাড়াই বাড়ি পৌঁছতে পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্যই এই দল পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দিতে যাবতীয় সহযোগিতা করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
গত ১২ নভেম্বর টানেলে কাজ করার সময় ধস নেমে বিপর্যয় ঘটে। আটকে যায় টানেলের মুখ। তারপর থেকে চলছে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা। বারবার এসেছে বাধা। বিভিন্ন অত্যাধুনিক মেশিন নিয়ে খননকার্য চালানো হয়েছে। সেই আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার তিন শ্রমিক- মানিক তালুকদার. সৌভিক পাখেরা ও জয়দেব প্রামাণিক। সৌভিক ও জয়দেব হুগলির পুরশুড়ার বাসিন্দা আর মানিক কোচবিহারের বাসিন্দা। তাঁদের পরিবার উৎকন্ঠার প্রহর গুনছে।
ইতিমধ্যেই সুড়ঙ্গে প্রবেশ করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি দল। সুড়ঙ্গের ভিতর নিয়ে যাওয়া হয়েছে একটি অ্যাম্বুল্যান্সও। ৫৫.৩ মিটার পাইপ বসে গিয়েছে। চলছে শেষ পর্যায়ের পাইপ বসানোর কাজ। যে কোনও মুহূর্তে শ্রমিকদের বের করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। দ্রুত তাঁদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সব বন্দোবস্তও করা হয়েছে।